উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালবাজার : ২৪ শে নভেম্বর ২০২১ : বুধবার : জমির ধান এখন পেকে উঠেছে। চলছে ধান কাটার মরসুম। এই সময় ডুয়ার্সের চাবাগান ও গ্রামাঞ্চলে হাতির উপদ্রব মারাত্মক ভাবেই শুরু হয়। ফসল খেতে বুনো হাতির দল সন্ধ্যা হলেই আবাদি এলাকায় হানা দেয়। জমির আবাদ বাঁচতে কৃষকরা মরিয়া হয়ে ওঠে। এই কারণে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘাত ঘটে। এই সংঘাতে কখনো মারা যায় বুনো হাতি আবার কখনো মারা যায় মানুষ। নষ্ট হয় জমির ফসল ও অন্যান্য সম্পদ।
এই সংঘাত রুখতে বনবিভাগ ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চাবাগান ও গ্রামাঞ্চলে নিয়মিত সচেতনতা শিবির করে চলছে। ডুয়ার্সের বাগরাকোট, ওয়াশাবাড়ি, লিসরিভার চাবাগান এলাকায় প্রায় প্রতিদিন হাতির আগমন ঘটছে, বাড়ছে সংঘাত। এই সংঘাত রুখতে বনবিভাগের উদ্যোগে ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় মঙ্গলবার বিকেলে ডুয়ার্সের বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার লিসরিভার চাবাগানে এক সচেতনতা শিবির করা হয়। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মাল বন্যপ্রান স্কোয়ার্ডের কর্মীরা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্পোরের সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে, ন্যাসের পক্ষে নফসর আলি, কুইক রেসপন্স টিমের কর্মী সহ অন্যান্যরা। বন্যপ্রান স্কোয়ার্ডের রেঞ্জার দিপেন সুব্বা বলেন, এখন ধান কাটার সময়। এ সময় হাতির উপদ্রব বেশি থাকে। ফলে সংঘাত বাড়ে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর। এই সংঘাত রুখতে আমরা লিসরিভার চাবাগানে শিবির করছি। শ্রমিকদের মধ্যে হাতি এলে কি করতে হবে, কোথায় খবর দিতে হবে, রাতে কি ভাবে চলাচল করতে হবে এই সব বিষয় বিষয় নিয়ে সচেতন করা হয়।