উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালবাজার : ২৯ শে নভেম্বর ২০২১ : সোমবার : প্রতিদিন গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে ওভারলোড ট্রাক ডাম্পার। ক্ষতিহচ্ছে রাস্তা এবং কার্লভার্ট। পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় নতুন রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে পানীয় জলের লাইন ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা। আর এতেই অতিষ্ট হয়ে গ্রামের মানুষ বড় লোডেড ট্রাক আটকে বিক্ষোভ দেখায়। কালিম্পং জেলার বাগ্রাকোটের চুনাভাটি এলাকার ঘটনা। ঘটনা স্থলে কালিম্পং জেলার পুলিশ।
মালবাজার ব্লকের বাগ্রাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে কেন্দ্রিয় সরকারের উদ্যোগে ফোর লেনের রাস্তা। বাগ্রাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তা তৈরি করছে তিনটি ঠিকাদার সংস্থা। আর এই রাস্তা তৈরির জন্য, রাস্তা তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী, ডাম্পার বা ট্রাকে করে বাগ্রাকোট থেকে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন কাজের জায়গায় যাচ্ছে। গ্রাম বাসিদের অভিযোগ এর জন্য ভাড়ি ভাড়ি গাড়ি বাগ্রাকোটের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কারনে ক্ষতি হচ্ছে এলাকার রাস্তাঘাট এবং কার্লভার্টগুলো। বাগ্রাকোটের বাসিন্দা প্রেমা লামা, রাজেস পেরিয়ালদের বক্তব্য, সোমবার সকালে ১৮ চাক্কার একটি লোডেড ট্রাক এই বাগ্রাকোট রাস্তা দিয়ে পাহাড়ে যাচ্ছে। আমরা সেই ট্রাক আটকে দিয়েছি। কারন ছোট কার্লভার্টের অপর দিয়ে এতবড় ট্রাক গেলে কার্লভার্ট ভেঙ্গে যাবে। আর এতেই এলাকার মানুষের সমস্যা বাড়বে। তাছাড়া পাহাড়ের নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে, এই রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে পানীয় জলের সমস্ত উৎস বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন যাবত। বাগ্রাকোট এলাকার প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ এখন পানীয় জল পাচ্ছে না। পানীয় জলের জন্য সেনাবাহিনীর জলের অপর নির্ভরশীল। জাতীয় সড়কে ওভারলোড গাড়ি দেখলেই পুলিশ ধরপাকোর শুরু করে। আর এদিন এত বড় ট্রাক সিমেন্ট নিয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পাহাড়ে উঠছে অথচ প্রশাসন কিছু বলছেনা। তাই বাধ্য হয়েই আমরা এই ট্রাক বন্ধ করেছি। পাশাপাশি পানীয় জলের ব্যাবস্থা দ্রুত না হলে বৃহত্তর আন্দলনে নামবে গ্রামের মানুষ।
এব্যাপারে ঠিকাদার সংস্থার ম্যানেজার রাজিব কুমার বলেন, ১৮ চাকা হবে না, ওটা ১২ চাকার ট্রাক। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমরা গত দুবছর ধরে রাস্তা রিপিয়ারও করছি। এই সব ট্রাক পাহাড়ের উচু জায়গায় যাবে না। কিছু দুরেই আমাদের প্ল্যান্ট আছে, সেখানে যাবে। পাহাড়ে রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে জলের লাইন নষ্ট হয়েছে ঠিকই কিন্তু আমরা গ্রামের লোকের জন্য জল্যের ব্যাবস্থা করেছি। আজকে এই ভাবে গাড়ি আটকের দেওয়ার ফলে প্রায় ২০- ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কারন পুরো ইউনিট বসে গেছে। কর্মচারীরা কাজ করতে পারে নি। এব্যাপারে আমরা আইনি ব্যাবস্থা নেবো।