উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালবাজার : ১৩ই ডিসেম্বর ২০২১ : সোমবার : জলপাইগুড়ি জেলার দিবাকর রায় ও মাম্পি ওরাও এবার জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে চলেছে ঝাড়খন্ডের রাঁচীতে। সেখানে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ ১৫ জাতীয় কুস্তী প্রতিযোগিতায় জলপাইগুড়ি জেলা থেকে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবে।
মাম্পি ওরাও মাল মহকুমার বাগ্রাকোট চা বাগানের বাসিন্দা। মা চাবাগানে চা-পাতি তোলার কাজ করে। ওদলাবাড়ীর সুনীল দত্ত স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী মাম্পি। আরেকজন দিবাকর রায়,বাড়ী জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মেচপাড়ায়। রাজগঞ্জের বারোপেটিয়া পাচুরাম নাহাট্টা হাই স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র দিবাকর। দিবাকরের বাবা পেশায় কৃষক। মাম্পি ৩৬ কেজি বিভাগে ও দিবাকর ৪৮ কেজি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এরা,দুইজনেই জলপাইগুড়ি রেসলিং এসোসিয়েশনের সদস্য। জলপাইগুড়ি রেসলিং এসোসিয়েশনের সদস্য ও কুস্তীর জেলা কোচ আশীষ শীল বলেন, এটা ভাবতে ও বলতে ভাল লাগছে ও গর্ববোধ হচ্ছে যে উত্তরবঙ্গ থেকে দুইজন জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে যাচ্ছে। এরা দুজন খুব গরীব ঘরের ছেলে মেয়ে। প্রতিদিন অনেক দূর থেকে জেলার ট্রেনিং সেন্টার গজলডোবা কমুউনিটি টেনিং সেন্টারে কোচিং নিতে আসে। এখন এই দুইজন ওয়েষ্ট বেঙল রেসলিং এসোসিয়েশন, কলকাতা, এর শিবিরে ট্রেনিং নিচ্ছে। সোমবার মাম্পি ও দিবাকর রাচীতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনুর্ধ ১৫ জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে যাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতা ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে কোচ আশীষ শীল জানান শুধু এইবার প্রথম নয়। এর আগে সিনিয়র বিভাগে জাতীয় স্তরে জলপাইগুড়ি রেসলিং এসোসিয়েশন থেকে জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেছিল কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। এখন পর্যন্ত কোন সরকারী অনুদান না পেলেও কয়েকটি সেচ্চাসেবী সংগঠনের সাহায্য তারা পেয়েছেন। আর তার জোরেই মাল ব্লকের গজলোডোবায় কুস্তির প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন কোচ আশীষ শীল।