উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালবাজার : ১৪ই ডিসেম্বর ২০২১ : মঙ্গলবার : এবার ডুয়ার্সের পর ভাল্লুক আতংক দেখা গেল পাহাড়ি এলাকায়। বিগত তিন সপ্তাহ ধরে ডুয়ার্সে ভাল্লুক আতংকের ফলে বনবিভাগ ও সাধারন মানুষ চিন্তিত ও কার্যত ভিত। এবার পাহাড়ি এলাকা, গরুবাথান ব্লকের ডালিম গ্রাম ও গরুবাথান এর আর সি মিশন গ্রামে কয়েকদিন ধরে ভাল্লুকের উপদ্রবে দারুন ভয়ে দিন যাপন করছে। ভাল্লুকের ক্রমবর্ধমান আতংক থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য গরুবাথান নাগরিক মঞ্চ গরুবাথান সামসিং বন বিভাগের রেঞ্জারকে স্বারকলিপি দেন। ভাল্লুকের আতংক দূর করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে স্বারকলিপিতে। কিছুদিন ধরে ভাল্লুক গ্রামে এসে জমিতে লাগান কৃষকের সবজি ব্যাপক ক্ষতি করছে।
ভাল্লুকের ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। এ ছাড়া কয়েকদিন আগে গরুবাথান লিম্বুর কাছে এক রাস্তায় চিতাবাঘের শাবক মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেই থেকে রাত্রে চিতাবাঘের গর্জন শোনা যাওয়ার ফলে লোকে আরও ভীত হয়ে পড়েছে। বনবিভাগের কাছে গ্রামবাসীদের কাতর প্রার্থনা যেন চিতাবাঘ ও ভাল্লুক কে খুজে গ্রামবাসীর ভয় দূর করে। গরুবাথান নাগরিক মঞ্চের সভাপতি সনম থাপা মঙর বলেন ভাল্লুকের আতংক মানুষের মনে ঢুকে গেছে। গত রবিবার ১২ ডিসেম্বর এক জঙ্গলি ভাল্লুক গ্রামে ঢুকে পড়ে। এই ভাল্লুক কৃষকের ক্ষেতের সবজির প্রচুর লোকসান করে। গ্রামে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না হয় তার জন্য বনবিভাগকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। কালিম্পং জেলার দূরখোলা গ্রামে দেখা গেল হিমালয়ান ব্ল্যাক ভাল্লুক এভাকাডো গাছের ফল এই ভাল্লুক গুলো খেতে আসে। বন বিভাগের কালিম্পং জেলার গরুবাথান নেওড়া রেঞ্জ অফিসার বিকাশ দর্জি জানান তাদের বন বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকরা দিন ও রাত্রে টহল দিচ্ছেন। বন দপ্তর জানিয়েছেন এখন কোন ভাল্লুক দেখতে পান নি। তবে এলাকায় টহলদারি জারি রেখেছে।