উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৭ই জানুয়ারী ২০২২ : শুক্রবার : লেপ তোষকের রমরমায় মন্দা। এখন মানুষ কম্বলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। শীতের সময় লেপ তোষকের ব্যবহার অনেক পুরানো। এর বাজারের দখল এখন কম্বলের কাছে। লেপ তোষক তৈরী করে যে মুনাফা তা দিয়ে সারা বছর সংসারের খরচা চলে। এখন এই ব্যবসা কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছে। প্রত্যেক বছর বিহার রাজ্যের মুজাফপরপুর, সমস্তীপুর, ছাপরা, বেগুসরাই, সিওয়ান থেকে লেপ তোষক বানাতে কয়েকশ ধুনকর পশ্চিমঙের বিভিন্ন জেলায় যায়। চাবাগান ও শহরে রোজগারের আশায় এরা দূর থেকে চলে আসে। ওরা সকাল ৫ টায় তূলা, লেপ ও তোষকের কাপড় নিয়ে সাইকেলে করে প্রতিদিন কুড়ি থেকে তিরিশ কিলোমিটার চক্কর দেয়। বর্তমানে লেপ তোষকের চাহিদা খুব কমে গেছে। লেপ তোষক ব্যবহার করার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
মজফফর জেলা থেকে আসা মহঃ আসলাম বলেন ২০ বছর ধরে লেপ তোষক তৈরী করে সংসার চালিয়ে আসছি। তুলা দিয়ে তৈরী লেপ তোষকের কদর ছিল আগের জমানায়। কম্বল আসায় খুব কম লোক লেপ তোষক ব্যবহার করেন। চারদিন ধরে সাইকেলে চক্কর লাগালোর পর শুক্রবার ওয়াশাবাড়ী বাজার লাইনে লেপ তোষক বানানোর কাজ পেলেন আসলাম। বিশ্বকর্মা পূজার পর বিহার থেকে এসেছেন। ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত লেপ তোষক বানানোর কাজ চলবে। বছরে ৮ মাস কৃষিকাজ করেন, চার মাস লেপ তোষক বানানোর কাজ করে ধুনকররা। ব্যবসা ভাল হবে, এই আশা নিয়ে বাংলায় এসেছি। কিন্তু হচ্ছে এর বিপরীত। লেপ বানাতে ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা নেন এরা। তোষক বানাতে নেন ৫০০০ থেকে ৬০০০ হাজার টাকা। ১০০ থেকে ২০০ ধুনকর বিহার থেকে এই রাজ্যে এসেছেন। ব্যবসা খারাপ হওয়ায় অনেক কম পয়সায় লেপ তোষক তৈরী করি। করোনার জন্য এখন কমেছে লেপ তোষক বানানোর কাজ। চরম সমস্যায় বর্তমানে এই লেপ তোষক তৈরির মানুষগুলো। কবে সুদিন ফিরবে সে দিকেই তাকিয়ে এখন এরা।