উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ১০ই জানুয়ারী ২০২২ : সোমবার : প্রায় জলহীন নদী থেকে এক বিএসএফ জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বামনগোলা এলাকায়। ওই জওয়ানের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠিয়েছে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় এখনও থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে এলাকাবাসীর অনুমান, ওই জওয়ানকে নদীতে চুবিয়ে খুন করেছে পাচারকারী দল।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম বিবেক কুমার তিওয়ারি (২৯)। উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা তিনি। ২০১৭ সালে তিনি সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে যোগ দেন। তিনি ১৫৯ ব্যাটেলিয়নের অধীনে বামনগোলা থানার খুটাদহ গ্রামে ইন্দো-বাংলা সীমান্তে কর্মরত ছিলেন। রোববার রাতে হাড়িয়া নদী সংলগ্ন এলাকায় তাঁর রাতে পাহারার ডিউটি ছিল। সোমবার সকালে হাড়িয়া নদীর ব্রিজের নীচ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে অন্যান্য জওয়ানরাই তাঁকে নদীতে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে দেহটি উদ্ধার করে বামনগোলা থানার পুলিশ। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত বিএসএফের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনা বিবেক কুমারের বাড়িতে জানানো হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর অনুমান, সীমান্তে চোরাপাচারে বাধা দিতে গিয়েই প্রাণ হারাতে হয়েছে ওই জওয়ানকে। কারণ, যেখান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে নদীতে এখন মাত্র এক কোমর জল। কোনও পূর্ণবয়স্ক মানুষ সেই জলে ডুবে মারা যেতে পারে না। তা ছাড়া মৃত জওয়ানের দেহে কোনও গুলি কিংবা অন্য কোনও ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে স্থানীয়দের অনুমান, এটা আত্মহত্যার ঘটনাও নয়। একমাত্র কাউকে জলে চুবিয়ে খুন করলেই এমনটা হতে পারে। একই ধারণা বামনগোলা থানার পুলিশেরও। তবে সকলেই এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে।