উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৪ই জানুয়ারী ২০২২ : শুক্রবার : এ বছরের প্রথম রেল দূর্ঘটনার সাক্ষী উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ি। শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ ময়নাগুড়িতে দূর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে আসেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ।
তিনি বলেন, লাইন ও লোকোমোটিভ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লোকোমোটিভের যন্ত্রাংশে ত্রুটি ধরা পড়েছে। কেন্দ্রীয় রেল সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হবে। দুই তিনদিনের মধ্যে জানা যাবে কি কারণে দূর্ঘটনা ঘটেছে। রেলমন্ত্রী ট্রলিতে চেপে এবং পায়ে হেঁটে সম্পূর্ণ দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রেলের আধিকারিকেরা।
এরপর দূর্ঘটনাস্থল থেকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল ও জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসাপাতালে ভর্তি জখম যাত্রীদের খোঁজ খবর নিতে পৌছন রেলমন্ত্রী।
কোথাও ঝুলে আছে দূর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের শরীরের অংশ, কোথাও চাপ চাপ রক্তের দাগ। ট্রেন লাইনের নিচে পড়ে আছে যাত্রীদের ব্যাগ, কাপড়চোপড়, জুতো, জলের বোতল। রাতেই উদ্ধার করা হয়েছে দূর্ঘটনার কবলে পড়া ১৫৬৩৩ আপ বিকানের-গৌহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের। সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে নয় জনের এবং জখম সাঁইত্রিশ জন। জখমদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসাপাতাল ও গুরুতরদের রেফার করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসাপাতালে ভর্তি আহত যাত্রীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে সেখানে যান। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলছেন রেলমন্ত্রী। দুর্ঘটনায় আহত অন্তত ৩৬ জন বর্তমানে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা, জেলা হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর, বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী।
শুক্রবার ভোরে ঘন কুয়াশার জন্য কাজের গতি কিছুটা হলেও কমে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধার কাজ। রেলের বগিগুলিকে ক্রেন দিয়ে সড়ানো হয়। রেল লাইন মেরামতের কাজও শুরু করা হয় সঙ্গে সঙ্গে। রেল আধিকারিকদের দাবি দুপুরের মধ্যে রেল লাইন স্বাভাবিক করা হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে বলে স্থানীয়দের দাবী। দূর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিন পরীক্ষা করার জন্য কলকাতা পাঠানো হবে বলে জানান আধীকারীকরা।