উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ১৮ই জানুয়ারী ২০২২ : মঙ্গলবার : বড় সড় সাফল্য পেল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ডাকাত দলের তিন পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ওয়ান শাটার বন্দুক, একটি বুলেট ও দুটি ধারালো অস্ত্র। ধৃত ওই তিন ডাকাতের নাম শেখ খলিল (৩৫) বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর মসজিদ পাড়া, মনোজ রাম (২৩) বাড়ি মনোহরপুর এবং কার্তিক দাস (২২) বাড়ি বারডাঙ্গা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর সোমবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় তিন সন্দেহ ভাজন যুবক ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। দেরি না করে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ আধিকারিকরা ওই তিন সন্দেহ ভাজন যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র। থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় এলাকায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে তারা জড়ো হয়েছিল। মঙ্গলবার তাদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে এবং ২ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। এদিকে বড়োসড়ো ডাকাতির আগেই তিন ডাকাত দলের পান্ডা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়ে যাওয়াতে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি। সম্প্রতি গত সপ্তাহে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকাতেই একটি সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তারপরে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় ওই ঘটনায় বিহারের দুষ্কৃতী জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশ প্রশাসনের। বিভিন্ন এলাকায় সেই ডাকাত দলের খোঁজে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। এমনকি বিহার থেকে বাংলায় প্রবেশ পথে নাকা চেক পোস্টেও তল্লাশি চালাচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। মদের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকা ৪ দুষ্কৃতীকে খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করবে বলে জানিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাবলু রজক জানান, এলাকায় বড়-সড় ডাকাতির আগে এই তিন দুষ্কৃতী ধরা পড়ায় আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশ যদি আরও আগে সক্রিয় হত তা হলে হরিশ্চন্দ্রপুর সম্প্রতি মদের দোকানে ডাকাতি হতো না। আমরা আশাবাদী পুলিশ এভাবেই এলাকায় সক্রিয় থাকবে। যাতে আগামী দিনে আমরা নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যবসা করতে পারি। এ প্রসঙ্গে মদের দোকানের মালিক রাহুল প্রামাণিক জানান আরও আগে পুলিশ সক্রিয় হলে আমার দোকানে এই ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটত না। ওই ডাকাতিতে আমার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। আমি চাইছি যেন আমার মদের দোকানে যে ডাকাতিতে যে চার জন দুষ্কৃতী ছিল তাদেরকে যেন পুলিশ তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করুক এটাই আমি চাই। আশা করব পুলিশ আরও সক্রিয় হবে। যাতে আগামীতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, মঙ্গলবার গভীর রাত্রে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার একটি জায়গায় হানা দেওয়া হয়। সেখানেই ওই তিন দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করা হয়। আমাদের সন্দেহ ওরা এলাকায় ডাকাতি উদ্দেশ্যএ জড়ো হয়েছিল। ওদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে, দুই দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।