উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৯ শে জানুয়ারী ২০২২ : বুধবার : রেল দূর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা মানুষের দেহের অংশ থেকে পচা দূর্গন্ধ বেরোচ্ছে, দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ দক্ষিণ মৌয়ামারি গ্রামের বাসিন্দারা। তারা চাইছে দেহের পচা অংশ সরিয়ে ফেলে স্যানিটাইজ করে পরিস্কার করা হোক এলাকা। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা ঘটনাস্থলে জনসমুদ্রের ভিড়ে ছড়াতে পারে করোনা। অবিলম্বে করোনা পরীক্ষা করার দাবি ময়নাগুড়ির দক্ষিণ মৌয়ামারি গ্রামের গ্রামবাসীদের। গত বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির দক্ষিণ মৌয়ামারি গ্রামে ওভারব্রিজের কাছে গুয়াহাটিগামী বিকাশের এক্সপ্রেস দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এলাকাবাসী কোন কিছুর ভ্রুক্ষেপ না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসে। বহু যাত্রীকে উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের জন্য অনেকেই রক্ষা পেয়েছেন। বেশির ভাগ যাত্রী ভিনরাজ্য থেকে ফিরছিলেন। ঘটনার পর ভিড় জমে এলাকায়। উদ্ধার কাজের জন্য রেলকর্মী ও পুলিশকর্মীরা আসেন। তাদের অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক।
গ্রামবাসীদের দাবি, প্রচুর লোকের সংস্পর্শে আসায় তাদের করোনা হতে পারে। দূর্ঘটনার পর রেললাইন মেরামতির কাজ চলছে। এখনও বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন ঘটনাস্থল দেখতে আসছেন, বসেছে দোকানপাট, তাদের অধিকাংশই মাস্কহীন। গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় করোনা পরীক্ষার জন্য বসানো হোক ক্যাম্প। এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী সরকার বলেন, দূর্ঘটনার পর বহু সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে। বাইরে থেকে রেলপুলিশ এবং পুলিশ কর্মীরা আসে। অনেকেই মাস্ক ছাড়াই আসে। ফলে আমাদের করোনার ভয় রয়েছে। সুরেশ রায় বলেন, আমাদের গ্রামে একটা মেডিক্যাল টিম এসে করোনা পরীক্ষা করুক, সেই সঙ্গে এলাকা স্যানিটাইজ করা দরকার। দূর্ঘটনার পর রেল লাইনের পাশে পড়ে রয়েছে মানুষের শরীরের পচা অংশ। শরীরের পচা অংশ থেকে এলাকায় দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এছাড়াও মলের দূর্গন্ধ রয়েছে। দূর্গন্ধের ফলে পরিবেশ দূষিত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিস্কার না করলে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা বিভিন্ন রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে এলাকায়। তাদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে নোংরা পরিস্কার করে পুড়িয়ে ফেলা হোক এবং স্যানিটাইজ করা হোক সমগ্র এলাকা।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ঝুলন সান্যাল গ্রামবাসীদের দাবির কথা শুনে বলেন, ওই এলাকায় করোনা পরীক্ষার ব্যাপারে বিডিওকে জানাবো। ওই এলাকা স্যানিটাইজ করা অবশ্যই দরকার বলে মনে করি। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা নমিতা রায় জানান, এলাকায় বাইরে থেকে প্রচুর লোকজন এসেছে। অনেকেই সংস্পর্শে আসে। করোনার ভয় রয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানো হবে।