উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৯ শে জানুয়ারী ২০২২ : শনিবার : এক দিকে করোনা আতঙ্ক, বহু মানুষের হাতে কাজ নেই। যার ফলে চা-বাগান এলাকায় মানব পাচারের সংখ্যা বাড়ছে। কাজের লোভ দেখিয়ে চা-বাগান এবং গ্রামের সাদাসিধে ছেলে-মেয়েদের ভিন্ন রাজ্যে পাচার করছে কিছু পাচারকারীরা।মানব পাচার বন্ধ করতে তাই এবার চা-বাগানে বাগান শ্রমিকদের নিয়ে শিবির করলো পুলিশ প্রশাসন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক, জলপাইগুড়ি জেলার এস পি দেবর্ষি দত্ত, মালবাজার মহকুমার এসডিপিও রবীন থাপা, আইসি সুজিত লামা এবং বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন। শনিবার ওদলাবাড়ি চা-বাগানের মাঠে একটি সভার মাধ্যমে চা-বাগানের ছেলে-মেয়েদের সচেতন করেন মন্ত্রী, পুলিশ আধিকারিক এবং সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
জলপাইগুড়ি জেলার এস পি দেবর্ষী দত্ত বলেন, কিছুদিন যাবৎ দেখা যাচ্ছে, চা-বাগান এলাকা থেকে কাজের লোভ দেখিয়ে বাগানের ছেলে-মেয়েদের বাইরে নেবার চক্র চলছে। এরকম কোন ব্যাক্তি যদি চা-বাগানে এসে কোন ছেলে-মেয়েদের কোন প্রলোভন দেখায়, তাহলে দ্রুত পুলিশ প্রশাসনকে জানাবেন। আমরা দ্রত ব্যবস্থা নেব। রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক বলেন, বর্তমানে রাজ্য সরকারের পুলিশ এব্যাপারে সব সময় সচেতন। তাই কেউ চা-বাগানে এসে কাজের প্রলোভন দেখালে, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান। যারা একবার কাজের লোভে ভিন্ন রাজ্যে গেছে, তারা কেউ ফিরে আসেনি। বাড়িতে আসতে চাইলেই তাদের ওপর অত্যাচার করা হয়। এখন বর্তমানে চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাই বাইরে যাবার কোন দরকারই নেই শ্রমিকদের। রাজ্য সরকার এখন সব সময় শ্রমিকদের পাশে রয়েছে। সব রকম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বিনামূল্যে শ্রমিকেরা রেশন পাচ্ছে। বর্তমানে পশ্চিম বাংলায় কোন মানুষ না খেয়ে থাকে না। তাই যারাই কাজের লোভ দেখাক না কেন, ভিন্ন রাজ্যে কাজের জন্য কেউ যাবেন না। শ্রমিকদের অজানা বহু জিনিস আজকে তাদের জানানো হলো।