উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৩ রা ফেব্রুয়ারী ২০২২ : বৃহস্পতিবার : ছাত্ররা অবাধে মাঠে ঘুরে বেরাচ্ছে, শিক্ষকদের দেখা নেই। মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই ছাত্রদের। অন্যদিকে স্কুলের ভেতরে ক্লাসের বদলে চলছে টিকা করণের কাজ। সেখানে আবার স্বাস্থ্য বিধি মানার ধার ধারছে না কেউ।
স্কুল ঘরে গাদাগাদি করে ভ্যাকসিন নিচ্ছে ছাত্ররা। কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক। এমনকি দায়িত্বরত শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীর মুখেও মাস্ক নেই। এমনই চিত্র মালদার হরিশ্চন্দ্র পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্কুল মাঠে করা হয় পাড়ায় শিক্ষালয়। আর স্কুল ঘরে চলছে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। আর সেখানে যা ছবি তাতে দু বছর পরে স্কুল খুললেও স্কুলের দশা যে বেহাল তা স্পষ্ট। না পড়াশোনা, না করোনা সংক্রমণ রোধের ব্যবস্থা কোনোটাই হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের নির্দেশে বৃহস্পতিবার থেকে খুলে গেছে স্কুল-কলেজ। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস হবে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণীর জন্য পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় করার কথা বলেছে রাজ্য সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে পড়াশোনার সমস্ত ব্যবস্থা স্বাস্থ্য বিধি মেনে করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয় খোলার পর বাস্তব চিত্রটা একদমই আলাদা দেখা গেল। ছাত্রদের বিদ্যালয়ে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য-বিধি। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক, মানা হচ্ছে না প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্ব।
শ্রেয়ান দাস নামে দশম শ্রেণীর এক ছাত্র বলে, মাক্স আমরা পরে আছি। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নিচ্ছি। কিন্তু ভিড়ের ফলে কোন দূরত্ব মানা হচ্ছে না। অপরদিকে মাস্ক হীন অবস্থায় স্কুলের মাঠে ঘুরছিল দশম শ্রেণীর ছাত্র সাগর দাস। তাকে প্রশ্ন করা হলে উত্তর মেলে, ভ্যাকসিন নিতে এসেছি, ক্লাস হবে না। তাড়াহুড়োতে মাস্ক আনতে ভুলে গেছি, বিদ্যালয় থেকে এই ব্যাপারে কিছু বলেনি।
প্রধান শিক্ষক মফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের নির্দেশিকা মেনে স্কুল খুলেছে। আজ দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তাই অনেক ছাত্র ক্লাস না করেই ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়িয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে হয় তো কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমরা সমস্ত কিছু মেনে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় করছি। মাঠে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছি। সচেতনতা প্রচার করব এবং কঠোর ভাবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবো।