উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৬ ই ফেব্রুয়ারী ২০২২ : বুধবার : পাওনা আদায়ে আবার পথে মাল ব্লকের কুমলাই চা-বাগানের শ্রমিকরা। দাবী আদায়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী ডামডিম মোড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার কথা থাকলেও শ্রম দপ্তরের হস্তক্ষেপে জাতীয় সড়ক অবরোধের বদলে বাগানের গেটে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। বাগানের নাম কুমলাই টি এন্ড ইন্ডাস্টটিজ লিমিটেড।
১৯৯৪ সালে এই বাগানের মালিক শশীকান্ত কোনাই বাগান ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় পিএফ এর ১ কোটি টাকা ও গ্র্যাচুইটি ৮০ লাখ টাকা পাওনা বাকী ছিল। সেটা এখনও অনাদায়ী। এরপরে আরও দু’বার মালিক বদল হয়। ঐ মালিকও ৬ কোটি পিএফ এবং ২ কোটি গ্র্যাচুইটি’র টাকা বাকী রেখে যায় বলে অভিযোগ করেন বাগানের শ্রমিক নেতা অমরদান বাকলা ও দীপক গুরুং। প্রকৃত পক্ষে এই চা-বাগানের দুর্দশা শুরু ২০০২ সাল থেকে। পিএফ, গ্র্যাচুইটির দেবার নামগন্ধ নেই। প্রায় ২৫০ শ্রমিক অবসর গ্রহনের পরে বঞ্চিত হয়েছেন বকেয়া পাওয়ার ক্ষেত্রে। পাওনা না পেয়ে অনেকে মারা গেছেন। কিন্তু তার পরিবার বকেয়া গ্র্যাচুইটি ও পিএফ এর পয়সা পায়নি। দুই পাক্ষিক মজুরী বাকী, কি ভাবে চলবে শ্রমিকের পরিবার? বারে বারে প্রশাসন ও ম্যানেজমেন্টের কাছে আবেদন করে কোন কাজ না হওয়াতে ক্ষিপ্ত শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বুধবার সকালে শ্রমদপ্তরের হস্তক্ষেপে ইউনিয়ন ও বাগান ম্যানেজমেন্টের বৈঠকে বুধবার বিকালে এক পাক্ষিক মজুরী দিতে ম্যানেজমেন্ট সম্মত হলে রাস্তা অবরোধের কর্মসুচী প্রত্যাহার করা হয়। বাগানের গেটের সামনে শ্রমিক জমায়েত করে শ্রমিক নেতারা। তারা বলেন ২২ শে ফেব্রুয়ারী শিলিগুড়িতে হতে যাওয়া বৈঠকের দিকে তাকিয়ে সকল শ্রমিক। শ্রমিক স্বার্থে সিদ্ধান্ত না হলে লাগাতার জাতীয় সড়ক অবরোধ ও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে তারা যেতে বাধ্য হবেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রীর কাছে তাদের সমস্যা ও দাবী নিয়ে চিঠি দিয়েছে।