উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২১ শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ : সোমবার : ময়নাগুড়ি পৌর ভোটকে কেন্দ্র করে হঠাৎ হাওয়া বদল ঘটলো সোমবার। ময়নাগুড়ির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী কাঞ্চন রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান। সোমবার ময়নাগুড়ির দেবীনগর কালী মন্দিরের সামনে অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠান। সেখানেই এসজেডি এর চেয়ারম্যান তথা জলপাইগুড়ি নির্বাচন কমিটির কো-অর্ডিনেটর সৌরভ চক্রবর্তী এবং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মহুয়া গোপ দলীয় পতাকা তুলে দেন। কাঞ্চন রায় বলেন, ময়নাগুড়ির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়ন যদি কেউ করতে পারে তবে তা হলো তৃণমূল কংগ্রেস। তাই আমার ওয়ার্ডের উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।
অন্যদিকে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এদিন ময়নাগুড়িবাসীদের জন্য ২৩ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ইস্তাহার প্রকাশ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বাড়ি বাড়ি বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রকল্প, উন্নতমানের অডিটোরিয়াম নির্মাণ, শহরের বুকে অবস্থিত জর্দা নদীর বাঁধ নির্মাণ ও সৌন্দৰ্য্যায়ন, হাসপাতালে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও উন্নত পরিষেবা প্রদান। সমস্ত ওয়ার্ডে পরিকল্পিত ভাবে জল নিকাশি ড্রেনের ব্যবস্থা তৈরী। পৌর এলাকার সমস্ত ওয়ার্ডে পাকা রাস্তা নির্মাণ । সমস্ত ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক পোষ্টে এবং শহর জুড়ে এল.ই.ডি. লাইটের মাধ্যমে শহরের সৌন্দর্য্যায়ন। পৌর এলাকার যে সমস্ত নাগরিকদের জমির পাট্টা নেই তাদের নিঃশর্ত দলিল প্রদান। পৌর এলাকভুক্ত যে সকল নাগরিকদের বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই তাদের বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান। বাসষ্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়ন। ময়নাগুড়িবাসিকে মোট ২৩ টি প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন তৃণমূল কংগ্রেস।
এছাড়াও এদিনের সভা মঞ্চ থেকে বিরোধী শূন্য পৌরসভা গঠনের ডাক দেন জেলা নেতৃত্বরা। এদিনের এই নির্বাচনী সভায় হাজির ছিলেন এসজেডিএ এর চেয়ারম্যান ডঃ সৌরভ চক্রবর্তী, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মহুয়া গোপ, রাজগঞ্জ এর বিধায়ক খগেশ্বর রায়, ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গুড্ডু সিং, জেলার নেতা শশাঙ্ক রায় বসুনিয়া সহ ব্লক স্তরের নেতৃত্ব এবং ১৭ টি ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আগামী দিনে কোনো নির্দলই থাকবে না। আমরা একটা সময় সীমা বেঁধে দিয়েছিলাম যারা এসেছেন তাদের স্বাগত কিন্তু পরবর্তীতে তাদের আমাদের দলে কোনো ঠাঁই নেই। নির্দল এবং কোন্দল এই দুটি দলের ঊর্ধেই হলো তৃণমূল কংগ্রেস।