উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২২ শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ : মঙ্গলবার : আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারী মালবাজার পুরসভার ভোট। তার জন্য সব দলের চলছে চুরান্ত ভোট প্রচার। কে কাকে টেক্কা দিয়ে কত ভালো প্রচার করতে পারে সেই নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা।
তবে মালবাজার পুরসভার বয়স প্রায় ৩৩ বছর হতে চললেও এখনও মালবাজারে একটা বড় সমস্যা রয়েই গেছে। গত ৩৩ বছর ধরে যে দলই মালবাজার পুরসভায় ক্ষমতা এসেছিলো কোন দলই কিন্তু সাধারন মানুষের বড় একটা দাবী পুরন করতে পারে নি। আর সেটা হল ডাম্পিং গ্রাউন্ড। যার ফলে মালবাজার সহ আশেপাশের নোংরা আর্জনা ফেলা হচ্ছে মাল নদীতে। গত কয়েক বছর ধরে এই ভাবেই দুষিত হচ্ছে মালবাজারের এক মাত্র বড় মাল নদী, দেখার কেউ নেই। মাল নদীর দূর অবস্থার কথা এবং ডাম্পিং গ্রাউন্ড এর সমস্যার কথা সব রাজনৈতিক দলই স্বীকার করেছে। সাধারন মানুষ থেকে পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা বারবার প্রতিবাদ করেই কোন লাভ হয় নি। যার ফলসরুপ বর্তমানে মাল নদী আবর্জনা, নোংড়া জিনিসপত্র এবং বিভিন্ন গৃহপালিত মৃত পশু ফেলার জায়গা হয়ে দাড়িয়েছে। জানা গেছে, মালবাজার পুরসভায় সব রাজনৈতিক দলই একবার না একবার ক্ষমতায় ছিলো তারপরও তৈরি করা সম্ভব হয় নি ডাম্পিং গ্রাউন। যারাই ক্ষমতায় আসে, তারাই বলে জমির সমস্যায় ডাম্পিং গ্রাউন হচ্ছে না, কিন্তু ডাম্পিং গ্রাউন হচ্ছে না বলে কি শহরে আবর্জনা ফেলা হবে মাল নদীতে? দাবী সাধারন মানুষের।
মালবাজার সিপিএম এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুপ্রতীম সরকার বলেন, প্রতিদিন শহরের নোংড়া আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মাল নদীতে, আর এতেই ক্ষতি হচ্ছে নদীর। আমরা ক্ষমতা এলে প্রথমেই ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করে দেব। মালবাজার এর দুই নম্বর ওয়ার্ডের পাশ দিয়েই চলে গেছে মাল নদী। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী এবার পুলিন গোলদার। তিনি বলেন, আমি জিতে পুরসভার উদ্যোগে ডাম্পিং গ্রাউন তৈরি করবো। এ ব্যাপারে বিদায়ী তৃণমূল এর চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, ইতি মধ্যে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য জমি চিন্নিত হয়ে গেছে। আমরা আবার ক্ষমতায় আসছি। তারপরই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
