উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ২৩ শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ : বুধবার : মঞ্চের প্রথম সারিতে সভানেত্রীর পাশে বিঝুব্ধ নেতা, যুব সভাপতি এবং প্রার্থীকে দেখা গেলো পেছনের সারিতে।
তবে মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, সবাই তৃণমূল পরিবারের সদস্য। পৌরসভা ভোটের মুখে শাসক তৃণমূলে কি নতুন সমীকরণ, অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে কর্মী সভা মঞ্চের ছবি দেখে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বুধবার জলপাইগুড়িতে জেলা সভানেত্রী সহ আসন্ন পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী এবং কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তিত্ব অরূপ বিশ্বাস। তবে কর্মী সভা শুরুর আগের কিছু ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ। এদিন অরূপ বিশ্বাসের মতো নেতৃত্বকে দেখা যায়, কদিন আগে দলীয় টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী রূপে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়া সেই মলয় বানার্জ্জী কে প্রায় কাঁধে হাত দিয়ে, হাত ধরে তৃণমূলের কর্মী সভায় নিয়ে আসছেন মন্ত্রী স্বয়ং। শুধু তাই নয়, মঞ্চে জেলা সভানেত্রীর পাশের আসনেই বসতে দেখা যায় অতি সম্প্রতি বিক্ষুব্ধ তৃণমূল হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা করার ব্যাপারে হাইকোর্ট পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করা মলয় বাবুকে।
অপরদিকে দলীয় টিকিট না পাওয়া এবং নির্দল প্রার্থী রূপে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে না পারার পেছনে যার বিরুদ্ধে সমস্ত কারসাজির অভিযোগ উঠেছিলো, সেই জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা এবারের পৌর ভোটে আট নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী সৈকত চাটার্জ্জিকে কর্মী সভার পেছনের সারিতে বসে থাকতে দেখা গেল। এর পরেই শহর তথা জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। যদিও, কর্মী সভায় নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চাটার্জ্জিকে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলতে দেখা যায়, তিনি বলেন এই তৃণমূল দলে সবাই আমার অভিভাবক, সবার আশির্বাদ আমি পেতে চাই এবং সবার কাছ থেকে সঠিক উপদেশ ও দিক নির্দেশ নিয়েই এই নির্বাচনী লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কে জয়ী করাতে চাই।
অপরদিকে যাকে নিয়ে পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল ছড়িয়ে ছিল, সেই মলয় বানার্জ্জী ওরফে শেখর বাবুকে নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বলতে দেখা যায়, আমি দলেই ছিলাম দল ও আমাকে তাড়িয়ে দেয়নি। যদিও নিজের রাজনৈতিক দক্ষতা দিয়ে পুরো ব্যাপারটিকে সবার কাছে স্বাভাবিক করে দেন অরূপ বিশ্বাস। অভিজ্ঞ এই তৃণমূল নেতা নিজের ভাষণে বলেন, কেউ বিক্ষুব্ধ নয় সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী।