উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২৪ শে ফেব্রুয়ারী ২০২২ : বৃহস্পতিবার : সন্দেহের বশে স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরি মারার অভিযোগ উঠলো ময়নাগুড়িতে। এই বিষয়ে ময়নাগুড়ি থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল স্ত্রী। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কালামাটি এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে, ময়নাগুড়ির দক্ষিন কালামাটি এলাকার পেশায় দিনমজুর অনুপ রায়ের সাথে সান্ত্বনা রায়ের পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী তাকে সন্দেহ করত বলে অভিযোগ। এই নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৮ টা নাগাদ সান্ত্বনা রায়ের মা তার বাড়িতে যায় মেয়ের খোঁজ খবর নিতে। অভিযোগ সেই সময় তার স্বামী তার স্ত্রীকে মারধোর করে এবং ধারালো ছুরি দিয়ে প্রথমে তার স্ত্রীকে আঘাত করে। এরপর সান্ত্বনা রায়ের মা আটকাতে গেলে সেও গুরুতর আহত হয়। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সান্ত্বনা রায়ের মা সরবালা অধিকারীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর তাদের উভয়কে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনলে বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করেন। ময়নাগুড়ির থানার পুলিশ জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
সান্তনা রায় বলেন, আমার স্বামী সন্দেহের বশে আমাকে মারধর করত। ২১ শে ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা নাগাদ আমাকে এবং আমার মা কেও আঘাত করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে। আমার স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সান্ত্বনা রায়ের মা সরবালা অধিকারী বলেন, আমি মেয়ের বাড়ি যাই মেয়ের খোঁজ নেওয়ার জন্য। সেদিন রাতে আমার মেয়েকে ছুরি মারতে যায় ওর স্বামী। আমি আটকাতে গেলে আমাকে ছুরি মারে।