উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ২ রা মার্চ ২০২২ : বুধবার : রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা মতোই প্রায় বিরোধী শূণ্য করে মাল পৌরসভার দখল নিল তৃণমূল। বিরোধী হিসাবে একা কুম্ভের মতো টিকে রইল বিজেপির সুশান্ত সাহা।
ডুয়ার্সের মাল পৌরসভার মোট আসন ১৫ টি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী রাজ্যের অন্যান্য ১০৮ টি পৌরসভার সাথে মাল পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের প্রচারে তৃণমূল নেতারা বার বার বলে ছিল এবার মালে বিরোধী শূণ্য বোর্ড হবে। বুধবার ভোটের ফলাফলে তারই প্রতিফলন ঘটল। বুধবার ছিল ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন। এদিন সকাল ৭ টা থেকে ডিসিআরসি হিসাবে বেছে নেওয়া মাল আদর্শ বিদ্যা ভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টরা আসতে শুরু করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে ছিলেন মাল মহকুমা শাসক পীয়ুস ভাগনরাও সালুংখে ও অন্যান্য আধিকারিক সহ পুলিশ কর্মীরা। সকাল ৮ টা থেকে ভোট গননা শুরু হয়। প্রথম পর্বে প্রথম ৫টি আসনের গণনা শুরু হয়। প্রথম ৫ টি আসনের ফলাফল ঘোষণা হতেই দেখা যায় ১ নম্বর আসনে বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বপন সাহা ৭৬৪ ভোটে বিজেপির দেবাশীষ পালকে হারিয়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পুলিন গোলদার বিজেপির দীপক বিশ্বকর্মাকে ৮২৯ ভোটে হারিয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী নেহা অগ্রয়ালকে ১৬১ ভোটে তৃণমূলের মঞ্জুদেবী মোর হারিয়েছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির সুশান্ত সাহা তৃণমূলের দীপা সরকারকে ১৫০ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃনমুলের সুরজিৎ দেবনাথ সিপিএমের সমীর সিংহকে ৫৪৯ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে তৃণমূলকে পিছনে তাকাতে হয় নি। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দোলা সিন্হা ৩৩০; ৭ নম্বর ওয়ার্ডে অমিতাভ ঘোষ ৫৪; ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মনিকা সাহা ৫০৬; ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রুমা দাস দে ১৪১; ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নারায়ণ দাস ২১; ১১নম্বর ওয়ার্ডে অজয় লোহার ৫৪৯; ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সরিতা গিরি ৩৮৬; ১৩ নম্বর ওয়ার্ড উৎপল ভাদুড়ি ৪৬২; ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুস্পা লিলি লাকরা ৪৩১ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মিলন ছেত্রী ৫৪৩ ভোটে জিতেছেন। জেতার পর বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা স্বপন সাহা বলেন, এই জয় মা মাটি মানুষের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জয়, উন্নয়নের জয়। আগামী দিনে আরও কাজ করতে হবে। এরপর কে চেয়ারম্যান হবে সেটা দলের নেতৃত্ব ঠিক করবেন।
বিজেপির টাউন মন্ডলের সভাপতি তথা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী নবীন সাহা বলেন, জনতার এই রায় আমরা মাথা পেতে নিয়েছি। কেন এই ফল হলো তার পর্যালোচনা হবে। সিপিএম এর নেতা তথা সাত নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই এম প্রার্থী সুপ্রতিম সরকার বলেন, মানুষের রায় মাথা পেতে নিতে হবে। কেন এমন হলো তা দলের মধ্যে পর্যালোচনা করতে হবে। এদিন তৃণমূল এর বিরাট জয়ের ফলে সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন নেতা কর্মিরা। চলে টাসা বাজনার সাথে বিজয় উল্লাস। এদিন ছোট থেকে বড়, মহিলারা সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন।