উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৯ ই মার্চ ২০২২ : বুধবার : দশম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীর মৃত দেহ মাটি খুড়ে বের করে আবার ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলো। পুলিশ প্রশাসন এবং ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিতে মৃতের পরিবারের লোক জনের সামনে বুধবার মালবাজার ব্লকের মানাবাড়ি চা-বাগানে কবর খুরে মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
উল্লেখ্য গত ২৫ শে জানুয়ারি মাল ব্লকের মানাবাড়ি চাবাগানে দশম শ্রেনীর ছাত্রী ওই বাগানেরই অন্য সেকশনে আত্মীয়র বাড়ি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে রাতে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর ২৬ তারিখ নিউমাল জি.আর.পি. ওদলাবাড়ি রেল স্টেশনের কিছুটা দূরে, রেল লাইনের ওপর এক কিশোরীর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে। ২৭ জানুয়ারি নিখোঁজ কিশোরীর পরিবার নিউ মাল স্টেশনে গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করে। এরপর ময়নাতদন্তের পর ২৮ জানুয়ারী মৃতদেহ মানাবাড়ি চাবাগানে ১৪ নাম্বার সেকশনে কবর দেওয়া হয়। তবে মৃতের পরিবার দাবি করে তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের খুজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। এই নিয়ে বেশ কয়েকদিন বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করে মৃতের পরিবার, আত্মীয়সজন এবং সাধারণ মানুষ। এরপর এক যুবক কে গ্রেপ্তার করে নিউ মাল জি.আর.পি.। কিছুদিন পর ময়না তদন্তের রিপোর্ট জি.আর.পি.-র হাতে আসে। তাতে জি.আর.পি. জানায়, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ওই স্কুল ছাত্রীর। খুনের উপযুক্ত কোন ক্লু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পাওয়া যায় নি। এরপর মৃতের পরিবার সহ আত্মীয়স্বজন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয় নি। তারা চেয়েছেন সঠিক তদন্ত হোক। প্রয়োজনে আবার ময়নাতদন্ত করা হোক তাদের মেয়ের। আর মৃতের পরিবারের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে আবার ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার মৃতদেহ মাটি খুড়ে বের করা হয়।
এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। এর আগে মৃতদেহ জলপাইগুড়িতে ময়নাতদন্ত হয়েছিল। এদিন কবর থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের সময় প্রচুর পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছিলো। যাতে অযোথা ভিড় না হয়। তবে দূর থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় করে। এদিন উপস্থিত ছিলেন মালবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্রনাথ সরকার, মালবাজার থানার আইসি সুজিত লামা, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আশিক প্রজা, মৃতের পরিবার এবং জি আর পি আধিকারিকেরা। সকাল সাড়ে আট টা থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের প্রকৃয়া শুরু হয় এবং ১০ টা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।