উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১০ ই মার্চ ২০২২ : বৃহস্পতিবার : বকেয়া মজুরী পাবার দাবীতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধর্নায় বসল মাল ব্লকের বাগ্রাকোট চা-বাগানের শ্রমিকরা। এমনকি ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় শ্রমিকেরা। ২০১৪ সাল থেকে খুড়িয়ে চলা এই বাগ্রাকোট চা-বাগান অনেক কিছু হারিয়ে আলোর সামনে আসে। বিগত কয়েক বছর বন্ধ থাকার কারনে বাগ্রাকোট চা-বাগানের বহু শ্রমিক অনাহারের মধ্যে থেকে অনেক সঙ্গীকে হারিয়েছে। অবশেষে ২০২১ সালে নতুন মালিকের হাত ধরে এই চা-বাগান খোলে। নুতন উদ্যমে বাঁচার পথকে আকড়ে ধরে নতুন ভাবে লড়াই আরম্ভ করে শ্রমিকরা।
কিন্তু এতদিন হয়ে গেলেও বকেয়া মজুরী মাত্র ৩৫ % পায় শ্রমিকরা। বাকী ৬৫ % না পাওয়ায় খুব্ধ শ্রমিকেরা। বার বার আবেদনের পর আবেদন করেও না পাওয়ার যন্ত্রনায় পথে নেমে বাকী বকেয়া মজুরীর জন্য আবার লড়াই এ নামে। চা শ্রমিক পূর্ণিমা তামাং ও চম্পা, মঙর বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ২০১৪ – ২০১৬ সালের বকেয়ার মজুরী কোথায়? ২০২১ সালের ২৭ জুন দাগাপুরে বন্ধ বাগ্রাকোট চা-বাগান খোলার ব্যপারে চুক্তিতে বকেয়া দেওয়ার কথা হয়েছিলো। সেই চুক্তির মিটিংএ বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ও মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। বাগান কতৃপক্ষ সেই চুক্তি খেলাপ করছে। বাগান ম্যানেজার জ্ঞান প্রকাশ দিক্ষীত বলেন, শ্রমিকদের যা বকেয়া দেবার কথা ছিল তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে সময়ের বকেয়ার কথা বলছে শ্রমিকরা সেই সময়ের কোন নথি পাওয়া যায় নি। শ্রমিকরা বলে নথি রাখার দায়িত্ব বাগান কতৃপক্ষের। তারা না রাখলে তার দায় বাগান কতৃপক্ষের। চা-বাগান মজদূর ইউনিয়ন নেতা কিশোর প্রধান বলেন, আমরা চাই দ্রুত শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী দেওয়া হোক। তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক পুলিন গোলদার বলেন, চুক্তি অনুযায়ী বাগান মালিকদের বকেয়া দিয়ে দেওয়ার কথা। এখন শ্রমিকরা বকেয়া না পাওয়ার যে কথা বলছেন তা ক্ষতিয়ে দেখছি। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শ্রম আধিকারিকের সাথে কথা বলে এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অবশেষে বাগ্রাকোট চাবাগান ম্যানেজার শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে দাবী নিয়ে কথা বলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলে শ্রমিকেরা ধর্না তুলে নেয়।