উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ধূপগুড়ি : ৩১ শে মার্চ ২০২২ : বৃহস্পতিবার : চা-বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী দ্রুত চালু, জমির পাট্টা দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবিতে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন সদর ব্লকের জয়পুর চা-বাগানে বিক্ষোভ সভা করে এই বাগানের শ্রমিকরা। চা শ্রমিকদের বিভিন্ন ইউনিয়নের যৌথমঞ্চ জয়েন্ট ফোরামের ডাকে এই সভা হয়। সভায় তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জয়েন্ট ফোরামের সঙ্গে যোগ দেয় তৃণমূল কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন আই.এন.টি.টি.ইউ.সি. অনুমোদিত চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরাও ।
চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণ ও দ্রুত তা চালুর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনে রয়েছে জয়েন্ট ফোরাম। শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলনের ফলেই ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণ কমিটি তৈরি হয়। ইতিমধ্যেই ১৭ টি মিটিং এর মধ্যে দিয়ে ন্যূনতম মজুরী নির্ধারিত হয়েছে। ১ লা জানুয়ারি ২০২২ থেকে ন্যূনতম মজুরী কার্যকর হবার কথা সরকার ঘোষনা করলেও তা এখনো চালু হয়নি। মালিকপক্ষ সরকারি মিটিং-এ ন্যূনতম মজুরী বিষয়ে সহমত হলেও পরবর্তীতে সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ১০ টাকার বেশি তাদের পক্ষে মজুরী বাড়ানো সম্ভব নয়। এ খবর প্রকাশ্যে আসবার পরই চা-শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করে। ২৪ থেকে ৩১ মার্চ বাগানে-বাগানে বিক্ষোভ সভার ডাক দেয় জয়েন্ট ফোরাম। উত্তরবঙ্গের সমস্ত চা বাগানে এই সময়কালে বিক্ষোভ সভা হয়। ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণ কমিটির পরবর্তী বৈঠক ২ এপ্রিল। এখন এই মিটিং এর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে চা-শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে জয়পুর চা বাগানের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাঠে জমায়েত হন চা শ্রমিকরা। দ্রুত ন্যূনতম মজুরী চালুর দাবিতে বিক্ষোভ সভায় সভাপতিত্ব করেন মারিয়ানুস কেরকাট্টা। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন জিয়াউল আলম, বিলাসুস কুজুর, প্রফুল্ল লাকড়া, সমর বাড়োয়া, কল্যানী এক্কা, শুভাশিস সরকার, ঝন্টু ওড়াও, আনন্দ দাস, অবিনাশ খালকো প্রমুখ। চা-শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে তালবাহানা শুরু করেছেন মালিকপক্ষ। মালিকপক্ষের এই মনোভাব সরকার ও শ্রমিকশ্রেণীর পক্ষে অপমানকর। ফলে ২রা এপ্রিলের মিটিং এ ন্যূনতম মজুরী নিয়ে নির্দিষ্ট ফয়সাল না হলে চা-শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই কোন পর্যায়ে পৌঁছাবে তা ঠিক করবেন শ্রমিকরাই, সভায় জানিয়েছে জয়েন্ট ফোরামের আহ্বায়ক জিয়াউল আলম।