উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৬ ই এপ্রিল ২০২২ : বুধবার : কাজ থেকে ছাটাই হওয়ার পর কাজ ফিরে পাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মাল ব্লকের সাইলি চা-বাগানের শ্রমিক অমল কেরকেট্টা। চাকরী ফিরে পাওয়ার জন্য মন্ত্রী ট্রেড ইউনিয়ন নেতা সবার কাছে গিয়েছেন অমল বাবু। এমন কি আদিবাসী সংগঠনের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে ভাবে সহযোগীতা পান নি তিনি। বাধ্য হয়ে তিনি সহ শ্রম আধিকারিকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। অমল বাবু বলেন তিনি সাইলি চা-বাগানে স্থায়ী পদে কাজ করেন। তিনি স্ত্রী,পুত্র,পুত্রবধু ও নাতি সহ বাগানের আবাসে থাকেন। একসাথে এই ভাবে থাকা যায় না, তাই তার ছেলে সুরেশ কেরকাট্টা বাগান আবাসের পাশে থাকার জন্য সীমানা প্রচীর দিয়েছিলো। সাইলী চা বাগানের ম্যানেজার তাকে বলেন, চা-বাগানের মধ্যে সীমানা প্রাচীর করা যাবে না। চা-বাগানের মধ্যে সিমানা প্রাচীর ভাঙতে বলে। সীমানা প্রাচীর না ভাঙ্গায় ২৪ শে জানুয়ারী আমাকে মৌখিক ভাবে কাজ থেকে ছাটাই করেন ম্যানেজার। এই জমিতে আমরা বহু বছর ধরে চাষ আবাদ করে আসছি। আর এখন ম্যানেজার বলছে আমাদের ওই জায়গা ছেড়ে দিতে। অমল বাবু আরও বলেন, আমি লিখিত চাইলে, সঞ্চালক লিখিত দিতে অস্বীকার করেন। আমার পি.এফ. গ্রাচুইটি প্রভৃতি পাওনার ব্যপারে কোন উচ্চ-বাচ্য করছে না বাগান কতৃপক্ষ। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাগান হাসপাতালে কোন চিকিৎসার সুযোগ দেয় না। আমি ওদলাবাড়ী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করাই। এই ভাবে আমাকে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। আমি সুবিচার এর জন্য ২০/২/২০২২ সহ শ্রম কমিশনারকে জানাই। বাগান থেকে আমাকে ছাটাই করায়, আমার সংসার চলছে না। কি করবো বুঝে পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে বাগানের ম্যনেজার সুনীল কুমার আগ্রোয়ালা বলেন বার বার নিষেধ করা সত্বেও বাগানের জমিতে সীমানা প্রাচীর বানাচ্ছে অমল কেরকাট্টা। তাই তাকে কাজ থেকে ছাটাই করা হয়েছে। চাবাগানে জমি ছেড়ে দিলেই পুনরায় চাকরীতে নিয়ে নেওয়া হবে।