উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৩ ই এপ্রিল ২০২২ : বুধবার : ময়নাগুড়ি পুরসভায় পাট্টাবিলিকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমিতাভ চক্রবর্তী। পুরসভার চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ তাঁর দলের কাউন্সিলার। এদিন এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে এদিন পাট্টাবিলির কর্মসূচী সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায়। এদিকে এদিনের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী নেতা তুহিন কান্তি চৌধুরী। প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী নেতা পাট্টা প্রদানের কর্মসূচীর খবর পেলেও কেন সেই খবর পেলেন না ভাইস চেয়ারম্যান।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ময়নাগুড়ি পুর এলাকার ১৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাট্টা দেওয়ার দিনক্ষণ ধার্য হয়। দুপুর দুটা নাগাদ পাট্টা নিতে এলাকাবাসীরা পুরসভা অফিসে চলে আসেন। অভিযোগ, প্রায় ঘন্টা খানেক পর চেয়ারম্যান ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে জানায় আজ পাট্টা দেওয়া সম্ভব নয়, তাঁর কারন কিছু কাউন্সিলার ও ভাইস চেয়ারম্যান উপস্থিত নেই। আর তাতেই শুরু হয় চরম গন্ডোগোল। চেয়ারম্যান শুধু কি চেয়ারে বসে থাকার জন্য? এমন কথা উঠতে থাকে লোকজনদের মধ্যে। উত্তেজিত হয়ে ওঠে অমিতাভ চক্রবর্তী। তাঁকে হেয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে তাঁকে শান্ত করতে এগিয়ে আসে বিরোধী নেতা। বেশ কিছু বিশৃঙ্খলের পর বিকেলে শুরু হয় পাট্টা প্রাদন। পাট্টা প্রদান শেষে ফের শুরু হয় গণ্ডগোল, উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পাট্টা নিতে আসা লোকজনেরাও।
মনোজ রায় বলেন, পাট্টা প্রাদন হল, এখবর তো আমি জানি না। এদিন নাম না করে চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে বলেন আমাকে জানানো হয় নি। আমাকেও অসম্মান করা হয়েছে। অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, তিনি যতদিন থেকে তৃণমূল করে তাঁর বহু আগের থেকে আমি এই দলে আছি। তিনি কাউন্সিলারদের সাথে অভাব্য আচরন করেন। বিনা কারনে আমাদের হ্যারেজমেন্ট করা হয়েছে। আজ পাট্টা দেওয়ার দিন ঠিক করা থাকলেও তিনি পাট্টা দিতে চাইছিলেন না, এর কারন কি? আমার ওয়ার্ডের লোক কি আমাকে এরপরে মানবে? যদিও এদিন মানুষের চাপে পরে পাট্টা দিতে হয়েছে।
অনন্তদেব অধিকারী বলেন, পুরসভায় অনেক কাজের চাপ থাকে। সে কাজে সম্ভবত একটু ভুল হয়েছিল। হোয়ার্ট আপে এই কর্মসূচী দেওয়া হয় নি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।
বুধবার এই খবর চাউর হতেই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু বাসিন্দারা অমিতাভ চক্রবর্তী সাথে দেখা করেন। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তিনি পৌরসভা অফিসে যান সেটাই বলেন। যদিও এই ব্যাপারে অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন সমস্ত বিষয়টি বিবেচনা করবেন। অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন তাকে অসম্মান করা হয়েছিল। অসম্মান করেছিলেন চেয়ারম্যান অনন্ত দেব অধিকারী।