উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৯ শে এপ্রিল ২০২২ : মঙ্গলবার : নিজস্ব সংবাদদাতা : ময়নাগুড়ি শহরের বুকে অবস্থিত ময়নাগুড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের ডাইনিং রুম তৈরিতে নিম্ন কাজের কাজের অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিবব্রত রায়। অভিযোগ, ডাইনিং রুম তৈরিতে পুরাতন ইট ব্যবহার করছে নির্মাণকারী ঠিকাদার। অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে এই কাজে নিযুক্ত শ্রমিক। ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে এই কাজ করা হচ্ছে। এর আগে এই কাজ বিডিও অফিসের পক্ষ থেকে করার কথা ছিল।
জানা গিয়েছে, ১৯৪৬ সালে ময়নাগুড়ি হাইস্কুল তৈরি হয়। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এখানে পড়াশুনা হয়। এই স্কুলে মোট ১৮০০ জন ছাত্র রয়েছে। বর্তমানে স্কুলের বারান্দা, খোলা মাঠে পড়ুয়ারা মিড ডে মিল খায়। স্কুলের পড়ুয়াদের সুবিধায় এই স্কুলে ডাইনিং রুম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ নিম্নমানের হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে উঠে আসে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিবব্রত রায় বলেন, প্রধান শিক্ষকের অফিসের ঘরের পেছনে ডাইনিং রুম এর কাজ চলছে। অথচ আমরা প্রথম থেকেই দেখতে পারছি পুরাতন ইট দিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। আসল ঘটনা হলো, আমাদের স্কুলের একটি পুরনো ঘর ছিল। সে ঘরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখান থেকে যে ইট বেরিয়েছিল তা দিয়েই ডাইনিং রুম তৈরি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই রুম কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। পুরাতন ইট ব্যবহার করার বিষয়ে বারংবার বলা হলেও যারা এই কাজ করছে তারা কথা শোনেনি। সে কারণেই আমরা চাইছি কাজের মান উন্নত মানের করা হোক।
ময়নাগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন, বিষয়টি জানতে পারলাম। সম্পূর্ণ কাজ দেখা হবে এবং খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এদিন ময়নাগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্ত দেব অধিকারী কে ফোন করা হলে তিনি প্রশ্ন শুনে ফোন কেটে দেন।
ঠিকাদার জীবন বাবু বলেন, যেটা অভিযোগ এসেছে সেটা, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কথার মধ্যে কিছুটা সত্য এবং কিছুটা মিথ্যা রয়েছে। আসল ঘটনা হলো হাই স্কুলের যে ঘরটি থেকেই ইট বেরিয়ে ছিল সেই ইটগুলি দিয়ে ঘরের ভিটিতে সোলিং করা হয়েছে। জীবনবাবু এছাড়াও জানান কিছু ইট ব্যবহারযোগ্য ছিল সেটা দিয়েই কাজ করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তার মধ্যে যে গুলি ব্যবহারের উপযোগী সেই অল্পসংখ্যক ইট ডাইনিং রুম তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া সমস্ত কাজ নতুন ইট দিয়ে করা হচ্ছে। এর ফলে কোন অসুবিধার সৃষ্টি হবে না।