উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২০ শে এপ্রিল ২০২২ : বুধবার : গত প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ জয়গাঁও এর ভুটান গেট বন্ধ। যার জন্য একদিকে যেমন বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে জয়গাঁও এর ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তেমনই প্রভাবিত হয়েছে পর্যটন শিল্পও। কবে ভুটান গেট খুলবে তা কেউ জানে না। আদৌ খুলবে কিনা তাও এখন অনিশ্চিত। এরফলে ব্যবসায়ীরা যেমন নিজেদের ব্যবসা গোটানো শুরু করেছেন, তেমনই বহু হোটেল বন্ধ হয়েছে।
জয়গাঁও এর এই ঘোরালো পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরবঙ্গের শিল্পদ্যোগীদের বিভিন্ন সংগঠন। সোমবার ময়নাগুড়িতে বিশেষ বৈঠক বসেন তারা। সেখানে ঠিক হয়, সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদল খুব শীঘ্রই থিম্পুতে গিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা জানাবেন। একই সঙ্গে ভুটানের সংশ্লিষ্ট আধিকারীকদের সঙ্গে কথা বলবেন। একই বিষয় নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারেরও দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নর্থ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুরজিৎ পাল, জয়গাঁও মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আর. এস. গুপ্তা, আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের যুগ্ম সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে , ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি গোপাল খুঁড়িয়া সহ ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা। নর্থ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন, কমপক্ষে প্রায় ৩ হাজার ছোট ও মাঝারি মাপের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ভুটানের সঙ্গে দেশের ভাতৃত্বের সম্পর্ক থাকলেও জয়গাঁও তে যে ভাবে ব্যবসায়ীক পরিবেশ শেষ করে দেওয়া হচ্ছে, এর পিছনে আন্তর্জাতিক কোনও সমীকরণ থাকতে পারে। যা অবিলম্বে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর দেখা উচিত। একটা সময় ছিল যখন শিলিগুড়ির পর জয়গাঁও থেকে গভমেন্ট উল্লেখযোগ্য পরিমানে রিভিনিউ আদায় করত। গত কয়েক বছর তা কমেছে। কয়েক হাজার ভুটানিজ সেখানে ঘর ভাড়া নিয়ে থেকে ব্যবসা করত। এখন তারা সবাই ফিরে গিয়েছে। ভুটান গেট বন্ধ থাকায় জয়গাঁয় পর্যটন ব্যবসা এক কথায় বিপর্যস্ত। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত গাড়ি চালকরাও অন্য পেশা বেছে নিয়েছে। পর্যটকদের রাত্রিবাসের জন্য জয়গাঁও এ থাকার হোটেলগুলিও প্রায় বন্ধ। ব্যবসায়ীরা জয়গাঁও ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। কারও কারও আশঙ্কা, ভুটান গেট খোলা না হলে, আলিপুরদুয়ারের সীমান্ত শহর জয়গাঁও জনপদ হারিয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।