উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২০ শে এপ্রিল ২০২২ : বুধবার : জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জলের সংযোগ থাকার পরেও পরিষেবা না পাওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে ময়নাগুড়িতে। ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি ২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার টেকাটুলিতে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় পাইপ লাইন দিয়ে যাচ্ছে না জল। যার ফলে জল কিনে খেতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ঘরে জল প্রকল্পের পাইপ লাইন সংযোগের পরেও বাড়িতে জল না আসায় ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছে টেকাটুলি এলাকার বাসিন্দারা। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবী, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের সময় তাঁদের পাইপ লাইনে সমস্যা হয়েছিল। এছাড়াও এলাকায় বেশ কয়েকটি পাম্প বসছে। এরপরেই এলাকায় জল চলে আসবে।
ময়নাগুড়ির টেকাটুলি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রায় বছর খানেক আগে এই এলাকায় জল সংযোগের কাজ হয়েছে। এলাকার প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে জলের কল বসানো হয়েছে। কল বসার প্রথম দিকে সুতোর মতো জল পড়লেও এখন একদম জল আসে না। এর ফলে পানীয় জলের জন্য তাঁদের কষ্ট করতে হচ্ছে। আর কতদিন পর তাঁরা জল পাবেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক বর্মন, ললিতা দাস, মমতা মিস্ত্রি বলেন, আমাদের এখানে সরকারি ভাবে বাড়িতে বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় বছর খানেক হতে চলেছে এই সংযোগ দেওয়ার। কিন্তু এতকিছু করেও কি লাভ হয়েছে। আমাদের জলের জন্য তো কষ্ট করতেই হচ্ছে। কল আছে কিন্তু জল নেই। এই কল থাকার মানে কি? আমরা জল কিনে খাচ্ছি। এক ড্রাম জলের দাম ২০টাকা। এর আগে এই বিষয়ে প্রধানকে বলেছি, কিন্তু এখনও কল থেকে জল আসছে না।
খাগড়াবাড়ি ২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান বাবলু রায় বলেন, জলের সংযোগ থাকার পরেও জল আসছে না এটা সত্য। তবে এর কারন হল জাতীয় সড়কের কাজের সময় পাইপ লাইন কয়েকবার সরিয়ে নিতে হয়েছে। আমার এলাকার প্রায় ৯ হাজার বাড়িতে পাইপ লাইন বসে গিয়েছে। আমি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের গ্রামে তিনটি জলের রিজার্ভার করা হয়েছে। কিন্তু এটাও ঠিক জল নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। অযথা জল অপচয় করছে অনেকেই। একদিকে যেমন জল অপচয় হচ্ছে, অপর দিকে বিদ্যুৎ বেশী প্রয়োজন হচ্ছে। এক একটি রিজার্ভারে ৩ লক্ষলিটার জল ধরে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ওই এলাকায় জলের সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু পাম্প বসানো হচ্ছে। আগামীতে জলের সমস্যা মিটে যাবে।