উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ২১ শে এপ্রিল ২০২২ : বৃহস্পতিবার : মালদার আমের জগৎখ্যাত নাম রয়েছে। সেই কারনে মালদার চাষ হওয়া আমের জেলায় চাহিদা মিটিয়ে ভিন্ন রজ্যে ও দেশে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বড়ো অংশের মুনাফা অর্জন করে মালদার আম চাষী থেকে রপ্তানিকারকরা। তবে এই বছর যে ভাবে হুহু করে ডিজেলের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে আমের পণ্য পরিবহনের মূল্যও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারনে বিদেশের বাজারে আম নিয়ে গিয়ে মুনাফা না হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে চাষী থেকে রপ্তানীকারীরা চাইছে অন্তত ২০ শতাংশ আমের মূল্য বৃদ্দি করা হোক, তা না হলে বাইরে আম রপ্তানো সম্ভব হবে না। উদ্যান পালন দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় বিগত বছরে ৩১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। এবছর ৪৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তবে আবহাওয়া বিরুপের কারনে এবছর আমের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। তার ওপর ডিজেলের মুল্য বৃদ্ধি বিদেশের বাজারে আমের দাম বাড়বে। আমের দাম না পেলে মালদার আমের চাহিদা বিদেশের বাজেরে যথেষ্ঠ কমবে।
মালদার সাহাপুরের আম চাষী অনিল দাস জানান, প্রথমে আমের যথেষ্ট মুকুল এসেছিল। ভেবে ছিলাম করোনার প্রভাব কাটিয়ে এবছর আমের যথেষ্ট ফলন হবে। তা জেলায় ও বিদেশের বাজারে বিক্রি করে লাভ হবে। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় আমের ফলন সে ভাবে হয়নি। তবে যেটুকু হয়েছে তা বিদেশের বাজারে কি ভাবে পাঠাবো। ডিজেলর মুল্য এত বেশি যে পণ্য পরিবহনে খরচ করে বিদেশ বাজার আমের দাম সেই ভাবে পাওয় যাবে না। যদি বিদেশের বাজারে ১২০-১৫০ টাকা কিলো হয় তা হলে লাভ হবে, নচেৎ ক্ষতি হবে। সেই কারনে আমরা ভাবছি আগামীতে আম চাষ আর করবো না। আমের আরতদার সৌমেন পোদ্দার জানান, যে ভাবে ডিজেলর দাম বেড়েছে, তাতে আম বিদেশের বাজারে পাঠিয়ে বিগত বছরে ১০ টাকা ছিল এই বছর তার দ্বিগুণ না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বে। সেই কারনে বিদেশের আমের বাজার বাজার কতটা পাবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে।