উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৫ শে এপ্রিল ২০২২ : সোমবার : নামেই আই টি আই কলেজ। মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি আই টি আই কলেছে নেই এর সংখ্যা বেশ বড়। তাই সোমবার কলেজের গেটে বিক্ষোভ এ সামিল হলো কলেজের পড়ুয়ারা। অবিলম্বে কলেজ ঠিকঠাক ভাবে চালু না হলে বৃহত্তর আন্দলনের হুমকি দিলো ছাত্র-ছাত্রীরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে এই আই টি আই কলেজ। বহু জায়গায় জানিয়েও কোন লাভ হয় নি। তাই বাধ্য হয়ে সোমবার কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা। আই টি আই কলেজের ছাত্র ও ছাত্রীরা অনল দাম, রূম্পা পাল, সৌরভ লাকড়া বলেন, আমরা দুরদুরান্ত থেকে কলেজে আসি কিন্তু বেশিরভাগ দিনই ক্লাস হয় না। কারন সব টিচাররা আসে না। আমাদের কোন আই কার্ড নেই। যার ফলে বাসে বেশি ভাড়া দিয়ে কলেজে আসতে হয়। কলেজে নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। খারাপ হয়ে পরে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের বাথরুম। হাতে কলমে কোন ক্লাস হয় না। কয়েকটি ককম্পিউটার ছিল, তাও আবার অন্য কলেজে নিয়ে গেছে কলেজ কতৃপক্ষ, যার ফলে সমস্যায় আমরা। কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের বসার চেয়ার টেবিল নেই। লাইব্রেরি আছে কিন্তু লাইব্রেরিতে কোন জিনিসপত্র নেই। সারা কলেজ ক্যাম্পাস জঙ্গলে ভরে গেছে। যখন তখন বিষধর সাপ বেরিয়ে আসছে কলেজে। এই রকম পরিবেশে পড়াশোনা করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে কলেজে, দাবি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের। ছাত্রছাত্রীদের আরও অভিযোগ এই কলেজের শিক্ষকের সংখ্যা ২৯ জন কিন্তু প্রতিদিন ৫-৬ বেশি শিক্ষক আসে না। যার ফলে ক্লাসও হয় না। এই কলেজের পড়াশোনা করে আমাদের ভবিষৎ টাই নষ্ট হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন সামনেই আমাদের পরীক্ষা কিন্তু এখনও সিলেবাস শেষ হয় নি। এব্যাপারে কলেজের সার্বেয়ারের ইন্সট্রাক্টর সৌমাভো সেনগুপ্ত বলেন, শুধু ছাত্র-ছাত্রীরাই অসুবিধায় নেই, আমাদের মত শিক্ষকেরাও অসুবিধায় রয়েছে। আমরা নুন্যতম বেতনে কাজ করছি। কলেছে শিক্ষকের সংখ্যা ২৯ জন কিন্তু প্রতিদিন কলেজে উপস্থিত হচ্ছে ৮-৯ জন। বাকিরা কেন আসছে না জানা নেই। যার ফলে ৩৫০ জনের মত ছাত্র-ছাত্রীদের খুবই সমস্যায় হচ্ছে। কলেজের পরিবেশ দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে, চারদিক বড় বড় জঙ্গলে ভরে গেছে। বিষাক্ত পোকামাকড় কলেজের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। নেই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করার পর্যাপ্ত চেয়ার টেবিল। নেই কম্পিউটার, নেই পানীয় জলের ব্যাবস্থা। এব্যাপারে কলেজের উর্ধতন কতৃপক্ষকে সবটাই জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা যারা ৮-৯ শিক্ষক ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছিলাম, তবে এখন সবাই ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত থাকছি। কারন আমরাও এখন সমস্যায় রয়েছি।