উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৯ শে এপ্রিল ২০২২ : শুক্রবার : বেআইনি বালি-পাথরের কারবারে লিপ্তদের বিরুদ্ধে নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী কড়া মনোভাব প্রকাশ করতেই বিভিন্ন নদী অভিযানে নামে পুলিশ প্রশাসন। আর অভিযানে নেমেই আক্রান্ত হলো প্রায় ৮ জন পুলিশ কর্মি। এদের মধ্যে মহিলা পুলিশ কর্মিও আছে। ভাংচুর করা হয় পুলিশে বেশ কিছু গাড়ি।
শুক্রবার বালি কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে আক্রান্ত হল ৮ জন পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় মাল ব্লকের ওদলাবাড়িতে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ঘিস নদীতে বালি-পাথরের অবৈধ কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। সেখানে পুলিশকর্মীদের ওপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬ জন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, আটক হয়েছে দুটি গাড়ি।
আরও জানা গেছে শুক্রবার সকালে মালবাজার ব্লকের ওদলাবাড়ি ঘীস নদী এলাকায় অভিযানে যায় মালবাজার পুলিশ। নদীতে একটি ট্রাক্টর আটক করে। সেই সময় ট্রাক্টর মালিক এবং নদীতে বালি পাথর কাজ করার সাথে যুক্ত মানুষদের সাথে গন্ডোগোল বেধে যায় পুলিশের। পুলিশ এক জনকে আটক করে সেই সময়। এরপর পুলিশের কাছ থেকে আটক করা ব্যাক্তিকে ছাড়াতে গেলেই খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এরপর এলাকার কিছু মানুষ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে পাথর বৃষ্টি শুরু করে। আর এতেই ৮ জন পুলিশ আহত হয়। ভাংচুর করা হয় পুলিসের তিনটি গাড়ি। এরপর ঘটনা স্থলে আসে মালবাজার থানার আই সি সুজিত লামা, এস ডি পি ও রবীন থাপা, জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষী দত্ত। এরপর শুরু হয় ধড়পাকড়। বর্তমানে ঘীস নদী থেকে বালি পাথর তোলা বন্ধ রয়েছে। এলাকায় বসেছে পুলিশ ক্যাম্প। পুলিশ সুপার বলেন, ধরপাকর চলবে। কোন বেয়াইনি কাজ নদীর বুকে চলবে না। এর সাথে যারাই জরিত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ চলবে। নদীতে কাজ করা মানুষদের বক্তব্য নদীতে কাজ করে খাই। এই ভাবে ধর পাকর হলে কি ভাবে চলবে আমাদের। নদীতে বড় বড় গাড়ি চলে, সেই সব গাড়িও ধরা উচিত। সবার জন্য সমান আইন হওয়া দরকার। পুলিশ জানিয়েছে, আইন সবার জন্য সমান। যারাই সরকারি আইন মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।