21.7 C
New York
Friday, June 20, 2025

Buy now

spot_img

৮ পুলিশ কর্মি আহতের পর থমথমে ঘীসবস্তি এলাকা।

উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৩০ শে এপ্রিল ২০২২ : শনিবার : শুক্রবার মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি ঘীস নদীতে বেয়াইনি বালি পাথর কারবারে লিপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয় ৮ জন পুলিশ কর্মি। ঘীস নদীতে একটি ট্রাক্টর এবং চালকে আটক করলে, পুলিশের ওপর পাথর বৃষ্টি শুরু করে বালি পাথর কারবারে যুক্ত মানুষেরা। শুক্রবার ৮ জন পুলিশ কর্মি আহত হয়। ভাংচুর করা হয় পুলিশের ৩ টি গাড়ি। জলপাইগুড়ির এস পি দেবর্ষী দত্ত শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানায়, এই ঘটনায় ৬ জন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি গাড়ি আটক করা হয়েছে। দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না।

শনিবার সকাল থেকে থমথমে ঘীস নদী এবং ঘীস বস্তি এলাকা। রাতের পর সকাল থেকেই চলছে পুলিশের টহলদারি এবং দোষীদের খোঁজ। বর্তমানে ঘীস নদী পুরো ফাঁকা। পুলিশের ভয়ে কোন গাড়ি এদিন নদীতে নামেনি। কোন শ্রমিকও কাজে আসেনি। শনিবার ঘীস বস্তির মহিলা এবং পুরুষেরা ভয়ে আতঙ্কিত। পুলিশের টহলদারির এবং খোঁজ খবরের জন্য ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে মহিলারা। এলাকার মানুষ নুরজাহান খাতুন, বীনা সেন, সুমিতা সা-দের বক্তব্য, গত শুক্রবার ঘীস নদীতে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা দুঃখিত। ৮ জন পুলিশ আহত হয়েছে, তার জন্য আমাদেরও খারাপ লাগছে। আমরা চাই যারাই এই ঘটনা ঘটিছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া আইনি পদক্ষেপ নেক। আমাদের পুলিশের কাছে অনুরোধ কেবল মাত্র দোষীদেরই যেন গ্রেপ্তার করা হয়। সামনেই ঈদ, পুলিশের টহলদারির ভয়ে কেনাকাটা বাজার করা বন্ধ হয়ে গেছে। ঈদের মুখে বন্ধ নদীতে কাজ নেই। নদীতে কাজ করেই আমাদের সংসার চলতো। এলাকার কিছু মানুষের জন্য আজ গোটা ঘীস বস্তির মানুষ দুশ্চিন্তায়। সামনে কয়েকজনের বাড়ি বিয়ে আছে। ভয়ে বিয়ের কাজও বন্ধের মুখে। আমরা চাই পুলিশকে সহযোগীতা করতে, যাতে দোষীরা দ্রুত গ্রেপ্তার হোক এবং ঘীস নদীতে শান্তি ফিরুক। ঘীস বস্তি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সৈদার রহমান বলেন, যারাই পুলিশকে মেরেছে, তাদের শাস্তি আমরাও চাইছি। কারন, কিছু লোকের জন্য আজ গোটা ঘীস বস্তির মানুষ আতঙ্কিত। রাতে পুলিশে আতঙ্কে ঘুমাতে পারছে না কেউ। ঘর থেকে মানুষেরা বের হতে ভয় পাচ্ছে, পুলিশের টহলদারির কারনে ভীত সবাই।

মালবাজার পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দোষীদের খোজে তল্লাশি চলছে। তাই ঘীস নদীতে মাঝে মধ্যেই টহলদারি চলছে। এলাকার মানুষের ভয়ের কোন কারন নেই। যারা সত্যিকারের দোষী তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। পাশাপাশি যে সকল বালি পাথর কারবারিদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে তারাই নদীত বালি পাথর তুলতে পারবে। বেয়াইনি কারবার একদমই করতে দেওয়া চলবে না।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

22,878FansLike
3,912FollowersFollow
14,700SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক খবর

error: Content is protected !!