উত্তরবঙ্গ নিউজ : কালিম্পং : মালবাজার : ২ রা মে ২০২২ : সোমবার : পাহাড়ের মহান গাম্ভীর্য ও অপরুপ সৌন্দর্য বার বার আকর্ষণ করে মানুষকে। তাই ভ্রমণ পিপাসুদের নিরিবিলি গন্তব্য হয়ে ওঠে পাহাড়ি পরিবেশে। শহরের ব্যস্ত কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে পর্যটকরা ছুটে আসে পাহাড়ের টানে। বার বার এক জায়গা অনেকের কাছে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে তাই চাই নিত্য নতুন গন্তব্যের ঠিকানা।
এই রকম এক নতুন গন্তব্য হয়েছে উঠেছে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৫৬০০ ফুট উচুতে কালিম্পং জেলার নাকডাড়া নামের এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। পাহাড়ের মেঘে ঢাকা অপরুপ মনমুগ্ধকর সৌন্দর্য নাকডাড়াতে আগেই ছিল। সম্প্রতি জিটিএর উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ১০ হাজার ফুট এলাকা জুড়ে এক সুন্দর ঝিল। ঝিলের জলে বোটিংয়ের ব্যবস্থা। জলে ঘুরে বেরাচ্ছে রং বেরংয়ের মাছ। ঝিলের চারধারে রেলিঙের ঘেরা। চারধারে রয়েছে সুন্দর লন ও বাগান।
ইচ্ছে করলেই ঝিলে চারপাশে ঘুরে বেড়ানো যায়। ঝিলের পাশে দাড়িয়ে আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখতে দেখতে শুনতে পাবেন। উত্তরে তাকালেই চোখে পড়বে সুমহান বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা। দিনে পাখির কলতান ও সন্ধ্যায় ঝিঁঝি পোকার ডাক। দিন কয়েক থেকে আশেপাশের ঘুরে বেড়ানো যায়। ছোট পাহাড়ি গ্রাম নাকডাড়ায় প্রায় ১৫০০ মানুষের বাস। জীবিকা বলতে ছিল পাহাড়ের মাটিতে আদা, ঝাড়ু, বড় এলাচ ও সবজির চাষ। এর সাথে ছিল গবাদিপশু পালন। সম্প্রতি পর্যটন জীবিকার নতুন দিশা এনে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে তিনটি হোম স্টে। একসাথে ৮০ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। খরচ হাতের নাগালের মধ্যে। মোবাইলের নেট ওয়ার্কের কোন সমস্যা নেই। স্থানীয় লোকজন যথেষ্ট অতিথি পরায়ন। সম্প্রতি দূরদূরান্তের পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে।
বালিগঞ্জ থেকে আসা এক পর্যটক পরিবার জানালেন, এক দিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা, তার সাথে এই অপরুপ ঝিল, সত্যি ভালো লেগেছে। কালিম্পং থেকে মাত্র ২৮ কিমি দূরে লাভা ও লোলেগাওয়ের মাঝে রয়েছে নাকডাড়া গ্রাম। পাশেই সামবিয়ং চা-বাগান। ডুয়ার্সের মালবাজার শহর থেকে দুরত্ব মাত্র ৪০ কিমি। কি ভাবে যাবেন? কাঞ্চনকন্যা ট্রেনে নিউ মাল স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়া যায়। এছাড়াও বাসে মাল বাসস্ট্যান্ডে নেমে ভাড়ার গাড়িতে যাওয়া যায়। শিলিগুড়ি থেকেও ভাড়ার গাড়িতে যাওয়া যায়। শহরের ব্যস্ততা ও কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে হাতে দু চারদিন সময় নিয়ে ঘুরে আসাই যায় নাকডাড়া।