উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৫ ই মে ২০২২ : বৃহস্পতিবার : গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নিতাই বর্মনের ফাঁসির দাবীতে কমল বর্মনের মৃতদেহ নিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওদলাবাড়ি ট্রাফিক মোড়ে রীতিমতো স্লোগান তুললো বর্মনপাড়ার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আঁটোসাটো পুলিশি নিরাপত্তায় বর্মনপাড়ার পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হওয়া কমল বর্মন (৫৫)-র শেষকৃত্য ওদলাবাড়ির চেলনদীর শ্মশাঙ্ঘাটে সম্পন্ন হয়। মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এলে নতুন করে বর্মনপাড়ায় অশান্তি ছড়াতে পারে, সেই আশঙ্কায় পুরো এলাকায় পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়ে ছিলো। প্রথমে পুলিশের তরফে মৃতদেহ বাড়িতে না এনে অন্যান্য সমস্ত নিয়ম মেনে সরাসরি শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও স্থানীয়দের চাপে পরবর্তীতে পুলিশ মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাবার অনুমতি দেয়। বিকেল প্রায় ৫ টা নাগদ কমল বর্মনের মৃতদেহ বাড়িতে এসে পৌছলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মৃতের দুই ছেলে। মারামারির ঘটনায় ওদিলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কমল বর্মনের স্ত্রী পারুল দেবীকেও হাসপাতাল থেকে সাময়িক ছুটি করিয়ে বাড়িতে এনে জরুরি আচার অনুষ্ঠান করা হয়। এরপরই পুলিশি নিরাপত্তায় মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানের উদ্দেশ্যে মিছিল করে রওনা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নিতাই বর্মনের ফাঁসির দাবীতে রীতিমতো স্লোগান তুললো বাসিন্দারা।
পুলিশি নিরাপত্তায় মৃতদেহ ওদলাবাড়ি চেল নদীর শ্মশানঘাটে দাহ করা হয়। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় এলাকার তৃনমুল পঞ্চায়েত সদস্য নিতাই বর্মন এবং তার ছেলেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। “নিতাই বর্মনের ফাঁসি চাই” স্লোগান দিয়েই মৃতদেহটি শ্মশানঘাটে নিয়ে যায় গ্রামের মানুষ। এদিন প্রায় একশতরও বেশি পুলিশ মোতায়েন ছিলো বর্মন পাড়ায়। অশান্তি এড়াতে রাতেও এই এলাকায় পুলিশ মোতায়ন থাকবে বলে জানান অ্যাডিশনাল এস পি (রুরাল) ওয়াংদেন ভুটিয়া। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।