উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ধূপগুড়ি : ৫ ই মে ২০২২ : বৃহস্পতিবার : ঠিক আট দিন পর ছেলের বোনের বিয়ে, এমন সময় ধূপগুড়ির শালবাড়ি স্কুল শিক্ষক শুভঙ্কর রায়ের বাড়িতে এসে ধর্নায় বসল বন-সহায়িকা সঙ্গীতা রায়। অভিযোগ দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সঙ্গীতা রায়ের সাথে প্রেম শালবাড়ি স্কুলের শিক্ষক শুভঙ্কর রায়ের। এদিক ওদিক একসাথে ঘুরতে যাওয়া। দুই পরিবারের সদস্যরা সহ আত্মীয়-স্বজনরা তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটা জানতো। কিন্তু প্রেমিক ছেলে বিয়ে করব করব করে দিন কাটাচ্ছিল। চাকরি পাওয়ার পর প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটায়। এরপর বিয়ে করতে অস্বীকার করে প্রেমিক। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় তরুণী।
অবশ্য দুজনের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে ছেলের বাবা। তিনি বলেন, ওদের বাড়ি থেকে এর আগে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছিল। এর আগে ছেলের বিয়েতে মতও ছিল। কিন্তু জানি না এখন কি হয়েছে, আমরা বিয়ে দিতে রাজি। কিন্তু আজকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ মেয়ে আমার বাড়িতে এসে ধর্নায় বসে।
ধর্নায় বসা সঙ্গীতা রায় বলে, দীর্ঘ ছয় বছর থেকে আমার সাথে এই বাড়ির ছেলে, শিক্ষক শুভঙ্কর রায়ের প্রেমের সম্পর্ক। এতদিন ধরে সে আমাকে বিয়ে করব করব বললেও গত ১ লা এপ্রিল হঠাৎ সে বলে আমাকে বিয়ে করবে না। তাই আমি আজকে সকালে এদের বাড়িতে এসেছি বিয়ের দাবি নিয়ে। তিনি আরও জানায়, আমাদের বাড়ি থেকে এর আগে সামাজিক মতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বেশ কয়েকবার ছেলের বাড়িতে আসা হয়। তারা বিয়ে দেবেন, কিন্তু সময় চান। এভাবে দিন কাটতে থাকে। এখন ছেলে আমাকে একজনের মাধ্যমে জানায় সে আমাকে বিয়ে করবে না। তাহলে এতদিন সে আমাকে ঘোরালো কেন? আমার বাড়ির সদস্যদের কেন বলেছিল বিয়ে করব ? তাই আমি তাকে বিয়ে করার জন্য তাদের বাড়িতে এসেছি। এখন প্রশ্ন উঠছে, একজন স্কুল শিক্ষকে সমাজের মেরুদন্ড বলা হয়? যখন তারা মানুষ গড়ার কারিগর তখন সমাজের কাছে কি বার্তা যাবে ? ধর্নায় কি সব সমস্যা সমাধান, এই নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এবিষয়ে শিক্ষক শুভঙ্কর রায় সাংবাদিকদের কিছু জানাতে চাননি। এমনকি বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও ফোন তোলেন নি। শুভঙ্কর রায়ের পরিবারের তরফে দাবি, এদিন যুবতীটি অনেক কয়েকজন যুবককে নিয়ে এসে বাড়ির সামনে গোলোযোগ সৃষ্টি করে। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে যুবতিটি।