উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৫ ই মে ২০২২ : বৃহস্পতিবার : দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে ময়নাগুড়ি ব্লকের ঐতিহ্য রাধিকা লাইব্রেরী। শতাধিক বছর পুরনো রাধিকা লাইব্রেরী বর্তমানে পরিকাঠামোগত সমস্যায় জরাজীর্ণ। চারিদিক নোংরা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। বিল্ডিংএর দেওয়াল আগাছায় ভরে গিয়েছে। ময়নাগুড়ির প্রাচীনতম এই ঐতিহ্য রক্ষার্থে রাধিকা লাইব্রেরী নতুন ভাবে গড়ে উঠুক এবং এর পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হোক সেটাই দাবি করছে ময়নাগুড়ির বাসিন্দারা।
ইংরেজ আমলে ১৯১০ সালে তৈরি হয় রাধিকা লাইব্রেরী। লাইব্রেরীর ভিতরে ইংরেজ আমলের ছাপ এখনও রয়েছে। ময়নাগুড়ি থানা রোডের ঠিক উল্টোদিকে এই লাইব্রেরী রয়েছে। যা বর্তমানে ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার অন্তর্গত। বর্তমানে লাইব্রেরীতে একজন মাত্র কর্মী রয়েছেন। লাইব্রেরী থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় পনেরো হাজারের অধিক বই রয়েছে এখানে। তবে বর্তমান সময়ে বই পড়ার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। যে কারণে পাঠকের সংখ্যাও কমে গিয়েছে। রাধিকা লাইব্রেরীর পরিচালন সমিতির মতে রাধিকা লাইব্রেরী সংস্কার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন বিল্ডিং এর কনস্ট্রাকশন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গ্রন্থাগারিক কৃষ্ণ কান্ত রায় বলেন, আমাদের এই লাইব্রেরীতে অনেক সমস্যা রয়েছে। এখানে না আছে জলের ব্যবস্থা, না আছে শৌচাগার। সমগ্র বাজারের নোংরা আবর্জনা ফেলার স্থান হয়ে গিয়েছে এই লাইব্রেরী। চারিদিকে শুধু জঙ্গল। লাইব্রেরীর গেটের সামনে অবৈধ পার্কিং জোন তৈরি হয়েছে। লাইব্রেরীর ভেতর তিনটি কম্পিউটার রয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। নেই ইন্টারনেট সংযোগ। প্রতিবছর বইমেলার সময় বই কেনা হয়। প্রতিদিন দুপুর তিনটে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইব্রেরী খোলা থাকে। পাঠকও আসে তবে আগের মত অত্যধিক পাঠক আর আসে না। এই লাইব্রেরী সংস্কার হলে পাঠকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে। এছাড়াও এটা তো ময়নাগুড়ি একটি ঐতিহ্য। সে কারণে আমরাও চাইছি এটির সংস্কার করে নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
পরিচালন সমিতির সদস্য গোবিন্দ পাল বলেন, রাধিকা লাইব্রেরী নিয়ে আমাদের এর মধ্যে একটি মিটিং হয়েছিল। লাইব্রেরীতে নতুন কনস্ট্রাকশনের কাজ শুরু হবে। সম্পূর্ণ লাইব্রেরীকে সংস্কার করা হবে। লাইব্রেরী কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হবে। লাইব্রেরী পরিকাঠামোগত সংস্কারের বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হবে। লাইব্রেরীর সংস্কার ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হলে পাঠকের সংখ্যা বাড়বে বলে আমাদের ধারণা।