উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৬ ই মে ২০২২ : শুক্রবার : গঙ্গা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ও ভাঙ্গন রোধের কাজের তদারকি করতে মালদার ভূতনি চড়ে পৌছলেন রাজ্য সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। সঙ্গে বিহার রাজ্যের শেষ দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। দুই রাজ্যের আধিকারিকরা ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন দ্রুত গতিতে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। আগত বর্ষার আগেই যতটা দ্রুত কাজ করা সম্ভব তার নির্দেশিকা দেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। নদীপথে জেলার অন্যান্য ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ঘুরে দেখবেন সেচ আধিকারিকরা বলে জানা যাচ্ছে প্রশাসন সূত্রে।
মালদার মানিকচক ব্লকের ভুতনি চরের মানুষের প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন। ফুলাহার ও গঙ্গা নদীর মাঝে অবস্থিত এই ভূতনী চর। দুই নদীর সাঁড়াশি আক্রমণে প্রতিবছরই একটু একটু করে যদি গর্ভে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি। ভূতনীর কেশবপুর, কালটোনটোলা এলাকায় বিগত বছরের বর্ষায় গঙ্গার দাপটে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় বাঁধ। তবে এই বছর বর্ষার আগেই ভাঙ্গন রোধ করতে ও ভাঙা বাঁধ মেরামতিতে হাত লাগিয়েছে রাজ্য সেচ দপ্তর। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে চলছে কাজ। সেই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার গোটা ভাঙ্গন রোধের কাজ পরিদর্শন করেন রাজ্য সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন সেচ দপ্তরের রাজ্য সেক্রেটারি অমিত রায় সহ অন্যান্য আধিকারিক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। পাশাপাশি সঙ্গে ছিলেন বিহার রাজ্যের সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। ভাঙ্গন রোধের কাজ সরজমিনে খোঁজখবর নেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। আগত বর্ষার আগেই যত দ্রুত সম্ভব কাজ যাতে সম্পন্ন হয় সেই নির্দেশিকা প্রশাসনিক কর্তাদের তুলে ধরেন রাজ্য সেচ দপ্তর আধিকারিকরা।
এপ্রসঙ্গে রাজ্য সেচ দপ্তরের সেক্রেটারি অমিত রায় জানান, কাজ বর্তমানে ধীরগতিতে চলছে যাতে দ্রুত কাজ হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিহার সংলগ্ন এলাকায় তদারকি করতে বিহারের সেচ দপ্তর আধিকারিকরা সঙ্গে রয়েছেন। আশা রাখছি দ্রুত কাজ করে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছাবে। তবে ভাঙ্গনরোধে কাজে চলছে তা নিয়ে দুর্নীতি অভিযোগ তুলছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। কোন রকম মুখ খুললে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এই বস্তার কাজ করে কোন মতে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয় বলে দাবি এলাকাবাসীর। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর ভাঙ্গন হচ্ছে। কাজ হচ্ছে কিন্তু সেই কাজের পরেও নদীর ভাঙতে ভাঙতে গোটা এলাকা গর্ভে চলে যাচ্ছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রতিবছর ভাঙ্গন হয় সেই ভবনের কাজ করতে গিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়। তাই ভাঙ্গন রুখতে গেলে পাকা কাজ প্রয়োজন। প্রশাসন নজরদারি দিয়ে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী সমাধান হোক দাবি এলাকাবাসীর।