উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৮ ই মে ২০২২ : রবিবার : গত ২৯ শে এপ্রিল মাল ব্লকের ঘীস নদীতে বেয়াইনি বালি-পাথর কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয় মালবাজার থানার ৮ জন পুলিশ কর্মী। ২৯ শে এপ্রিল সকাল ১১ টা নাগাদ মালবাজার পুলিশের টিম ঘীস নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি পাথর বোঝাই ট্রাক্টর ও চালককে আটক করে। এরপর ঘীস বস্তির কিছু মানুষ পুলিশের ওপর পাথর ছুরে আক্রমন করে। ৮ পুলিশ কর্মী আহতর পাশাপাশি ভাঙ্গা হয় তিনটি পুলিশের গাড়ি। এরপর দোষীদের গ্রেপ্তার শুরু করে মালবাজার পুলিশ। ইতিমধ্যে ১০-১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মুল অভিযুক্ত লেবু মহম্মদ এবং তার ছেলেরা এখনও গ্রেপ্তার হয় নি। গ্রেপ্তারের ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। এদিকে পুলিশে অভিযান মাঝে মধ্যেই চলছে ঘীস বস্তিতে।
রবিবার ঘীস বস্তির গ্রামের মহিলারা লেবু মহম্মদের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। লেবুর বাড়ির সামনে গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে লেবুর স্ত্রীকে জানান, অবিলম্বে লেবুকে পুলিশের কাছে ধরা দিতে। তা না হলে গ্রামের মহিলারা লেবুর পরিবারকে ছাড়বে না। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ লেবু সহ কয়কজনের জন্য আজ গোটা ঘীস বস্তির মানুষ বিপদের মুখে। গ্রামের পুরুষেরা পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছাড়া। কাজ নেই বাড়ির কারো, কারন ঘীস নদীতে কাজ করতে পারছে না। গ্রামের মহিলাদের আরও অভিযোগ দোষীদের পাশাপাশি কিছু নির্দোষীরা পুলিশের কাছে আটক হয়েছে। সেই ভয়ে গ্রামের পুরুষেরাও পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা চাই মুল অভিযুক্ত লেবু মহম্মদ এবং তার ছেলেরা পুলিশের কাছে ধরা দেক। যাতে গ্রামে পুলিশ আর কাউকে গ্রেপ্তার না করে। এব্যাপারে লেবু মহম্মদের স্ত্রী জানায়, আমার কাছেও আমার স্বামী এবং দুই ছেলের কোন খোজ নেই। তাদের সাথে আমরাও যোগাযোগ করতে পারছিনা। গ্রামের মানুষ যে সব অসুবিধা ভোগ করছে আমরাও সেই অসুবিধা ভোগ করছি। তবে আমিও চাইছি যারা সত্যিকারের দোষী, তারা পুলিশের কাছে ধরা দেক। যাতে গ্রাম আর অশান্ত না হয়। ভয়ে আমরাও রয়েছি। গ্রামের মহিলারা এদিন একত্রিত হয়ে জানায়, অবিলম্বে লেবু তার সঙ্গিসাথীদের নিয়ে পুলিশের কাছে ধরা না দিলে আবার লেবুর বাড়ি ঘেরাও করা হবে। মালবাজার পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, সেদিনকার ঘটনায় যারা জরিত তাদেরই ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুল অভিযুক্ত লেবু মহম্মদ এবং তার ছেলেদের খোঁজ চলছে।