উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ১৩ ই মে ২০২২ : শুক্রবার : কোটি টাকা দামের মূল্যবান তক্ষক উদ্ধার করল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল গভীর রাত্রে এ.এস.আই. জাকির হোসেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুমেদপুর বাইপাস সংলগ্ন অঞ্চলে একটি পেট্রলপাম্প থেকে এই তক্ষকটি উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় তিন পাচারকারীকে। ধৃত তিন ব্যক্তির নাম জয়নাল আবেদীন(৪০), আবু তালেব(৩৮), রুদাল চৌধুরী(৪০)। এদের প্রত্যেকের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার বিভিন্ন গ্রামে। জানা যায় বসিরহাট থেকে এই তিন ব্যক্তি তক্ষকটিকে নিয়ে বিহার হয়ে চীনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তক্ষকটিকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ শুক্রবার বনদপ্তরের কাছে তুলে দিয়েছে। এই তিন পাচারকারীকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এ.এস.আই. জাকির হোসেন কুমেদপুর এলাকায় হানা দেয়। সেখানে কুমেদপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্প থেকে এই তিন সন্দেহ জনক ব্যক্তিকে আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি বিরল প্রজাতির তক্ষক। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ইঞ্চি। এটিকে বসিরহাট থেকে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরের বিহার সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে নেপাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সেখান থেকে চীনে পাচার করা হতো। চীনে এই তক্ষকের প্রচুর মূল্য পাওয়া যায়। ঔষধ তৈরি এবং বিভিন্ন কারণে চীনে তক্ষক কেনা-বেচা হয়। শুক্রবার তক্ষকটিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই তক্ষক সহ তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছি। কি উদ্দেশ্যে কোথায় তারা তক্ষক নিয়ে যাচ্ছিল তা সম্পর্কে এদের কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তক্ষকটিকে বনদপ্তর এ হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বনদপ্তরের চাঁচলের রেঞ্জ এর আধিকারিক মনীন্দ্র নাথ থোকদার জানান, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থেকে এই তক্ষকটি নিয়ে আপাতত বনদপ্তরের অধীনে রাখা হবে। এরপর আদালতের যা নির্দেশ দেবে সেই মোতাবেক কাজ করা হবে।