উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ১৮ ই মে ২০২২ : বুধবার : তিন বছর ধরে ভাঙ্গা নদী বাঁধের সমস্যায় জর্জরিত মানিকচক ব্লকের মথুরাপুরবাসী। উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে মথুরাপুর অঞ্চলের অন্তর্গত শংকর তলা এলাকায় ফলাহার নদীতে আশঙ্কায় তলিয়ে যায় মূল নদী বাঁধের একটা বড় অংশ। সঙ্গে তলিয়ে যায় একটি বড় শিব মন্দির ও কয়েকটি বড় বড় গাছ, কয়েকটি বাড়ি। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরালও হয়েছিল। সেই সময় তড়িঘড়ি বাঁধ বাঁচাতে বালির বস্তা ফেলে আপৎকালীন কাজ করে মালদা জেলা সেচ দপ্তর। স্থানীয়দের অভিযোগ তারপর থেকে কেটে গেছে তিনটি বছর, ফুলহার নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। সেই সময়ের পরে আর কোন ভাঙা নদী বাঁধ মেরামতি করার উদ্যোগ নেয়নি সেচ দপ্তর। যে ভাবে নদীর জল বাড়ছে তাতে আবার হতে পারে ভাঙ্গন। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মথুরাপুরবাসী। মানিকচক ব্লকের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মথুরাপুর। মথুরাপুরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ফলাহার নদী। বন্যায় মথুরাপুর অঞ্চল প্লাবিত হলে প্রায় মানিকচক এর সমস্ত জায়গায় জল ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থায়ী সমাধানের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন মন্ডল, জীবন মন্ডল, রেখা মন্ডলরা বলেন গত ২০১৯ সালে শংকরতলা এলাকায় ভাঙ্গন হয়েছিল, যেখানে বাড়িঘর সহ শিব মন্দির ও নদী বাঁধের অংশ নদীতে তলিয়ে যায়। সেই সময়ই বালির বস্তা দিয়ে কাজ করা হয়েছিল। তারপর থেকে একই অবস্থায় রয়েছে এই এলাকা। আতঙ্ক আমাদের মধ্যে রয়েই গেছে। যে সমস্ত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা বলেছিল সরকার কিন্তু এখনও তা বাস্তবে রূপ পায় নি। আমাদের দাবী অবিলম্বে এই এলাকায় স্থায়ী ভাবে ভাঙ্গনরোধের কাজ করতে হবে প্রশাসনকে। এই বিষয়ে বামফ্রন্ট নেতা শ্যামল বসাক জানাই গত তিন বছর ধরে ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে নদী বাঁধ। যে কোনো সময় আবার বড় বিপত্তি ঘটতে পারে। শুধুমাত্র বালির বস্তা দিয়ে কাজ হয়েছে বাঁধের কোন রকম মেরামতির কাজ হয়নি। রাজ্যের শেষ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন নিজে এই এলাকা পরিদর্শন করে গেছিলেন, আশ্বস্ত করেছিলেন মানুষকে বাঁধ মেরামতির কাজ হবে কিন্তু হয়নি। তৃণমূল সরকার সেচ দপ্তর ভাঙ্গন রোধ করতে ব্যর্থ বলে আমরা মনে করি। অন্যদিকে এই বিষয়ে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মন্ডল জানায় জেলা সেচ দপ্তর ও আমাদের বিধায়িকার নজরে আছে মথুরাপুরের ভাঙ্গন। যাতে খুব তাড়াতাড়ি বাঁধ মেরামতি করা যায় আমরা কথা বলবো। মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য প্রশাসন সব সময় তৎপর রয়েছে। অন্যদিকে এই বিষয়ে রাজ্যের শেষ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ফোনে জানায়, আমি নিজে মথুরাপুরে এই ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। খুব শীঘ্রই ভাঙ্গা বাঁধ মেরামতির কাজ করা হবে।