উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ১৯ ই মে ২০২২ : বৃহস্পতিবার : বৃহস্পতিবার সকালে নিজের শোওয়ার ঘর থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম শংকর কর্মকার(৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার রর্শিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের অঙ্গারমনি গ্রামে। পুলিশ ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খুন না আত্মহত্যা গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন শঙ্কর বাবুর স্ত্রী ও পরিবার বাড়িতে ছিল না। তারা সবাই শঙ্কর বাবুর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বুধবার বিকেলে শংকর কর্মকার হরিশ্চন্দ্রপুরে তার বাড়িতে ফেরার জন্য সেখান থেকে রওনা দেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার শোওয়ার ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রের খবর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন ঝগড়াঝাঁটি কিছুই হয়নি। তবে শংকর কর্মকার মাঝে মাঝে মদ্যপান করতেন বলে পরিবারের লোকের দাবী। মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ শংকর কর্মকার আত্মহত্যা করেছে নাকি পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ। এ প্রসঙ্গে শংকর কর্মকারের স্ত্রী হেমলতা কর্মকার জানান, আমি বাপের বাড়িতে ছিলাম। সেখানে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যই কয়দিন আগে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীও সেখানে গিয়েছিল। বুধবার বিকেলে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আজ সকালে হরিশ্চন্দ্রপুরের আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় আমার স্বামীর শোওয়ার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কি ভাবে মৃত্যু হয়েছে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। আমরা এই বিষয়ে সঠিক তদন্তের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছি। আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াঝাটি অশান্তি কিছুই হয়নি। আমার স্বামী ভিন রাজ্যে আমার বাবার সঙ্গে দিন-মজুরের কাজ করতো। আমাদের তিন ছেলেমেয়ে। এখন কি ভাবে সংসার চালাবো কিছুই বুঝতে পারছিনা। স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন চন্দ্র দাস জানান, আমরা সকলেই এই ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। শংকর কর্মকারের কারোর সঙ্গে ঝামেলা ছিল না। আমরাও চাই পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করুক। এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, ঘটনা তদন্ত চলছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা পাঠানো হয়েছে।