উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২০ শে মে ২০২২ : শুক্রবার : ক্রান্তি ব্লক গঠনের আগেই ক্রান্তি হাটে কর্মতীর্থ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চার বছর ধরে কাজ চলার পর সংখ্যালঘু দপ্তরের আর্থানুকূলে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট কর্মতীর্থ ভবন। সেই কর্মতীর্থ ভবনের দ্বারোদঘাটন করা হবে খুব শীঘ্রই। আর এতে লাভবান হবেন এখানকার ব্যবসায়ীরা, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দ্বারোদঘাটনের আগেই ক্রান্তি হাট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অবস্থান বিক্ষোভ ও মিছিল করল। এদিন ব্যবসায়ীরা ক্রান্তি বাজার থেকে ক্রান্তি অঞ্চল অফিস পর্যন্ত মিছিল করে। ব্যবসায়ীদের দাবি বর্তমানে যে জায়গাতে কর্মতীর্থ নির্মিত হয়েছে। সেখানে যারা আগে দোকান করতেন তাদের সকলকে দোকান ঘর দিতে হবে। জানা গেছে, সেখানে আগে ১৬৪ জন ব্যবসায়ী দোকান করতেন।
এদিকে নবনির্মিত কর্মতীর্থ ভবনে ১১২ টি দোকান ঘর রয়েছে। তার মধ্যে ৫টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও ৩১ টি এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের লটারির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭৬ টি দোকান ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ। জেলা প্রশাসনের কাছে সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে অনুমোদনের জন্য বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। অনুমোদন হলেই সেই সমস্ত দোকান ঘরের চাবি ব্যবসায়ীদের তুলে দেওয়া হবে। তবে আগে থেকে সেখানে ব্যবসা করা ব্যবসায়ীরা কোথায় যাবেন? ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মধুসূদন বণিক বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য যে ৩৬ টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে এখানে ব্যবসা করা সকল ব্যবসায়ীদের জন্য ঘর বরাদ্দ করতে হবে। ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায় জানালেন, হাট ব্যবসায়ীরা সপ্তাহে একদিন হাট করেন কিন্তু সরকারের মূল উদ্দেশ্য কর্মতীর্থে প্রতিদিন বাজার বসবে, দোকান পাট খোলা থাকবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও বেকার যুবক-যুবতীদের লটারির মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে ঘরগুলি বিতরণ করা হয়েছে।