উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ২০ শে মে ২০২২ : শুক্রবার : কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টির জেরে পুরাতন মালদা ব্লকের কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা। বোরো ধান তোলার মুহূর্তে গত সোমবার থেকে কয়েক দফায় যে ভাবে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে এখন জলমগ্ন হয়ে রয়েছে পুরাতন মালদা ব্লকের যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের মেহেরপুর, হালনা সহ বিভিন্ন এলাকা। ধানের জমিগুলি এখন বিশাল জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থায় কোন রকমে ভেজা ধান কাটার কাজ শুরু করেছেন চাষিরা। তাঁদের বক্তব্য, ধানের জমিতে কোমর জলে নেমে ফসল কাটার কাজ আমরা শুরু করেছি। গত সোমবার গভীর রাতে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভিজা ধানের গাছ কেটে এখন শুকোনোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু আবার যদি বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়, তা হলে শুকনো জায়গায় রাখা ধান আর রক্ষা করা যাবে না। এমনিতেই জলমগ্ন জমিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় প্রশাসনের সহযোগিতা আবেদন জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা।
যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের মেহেরপুর এলাকার ধানচাষী ইমান আলী, মহম্মদ আশরাফুল শেখদের বক্তব্য, আমাদের কেউ কুড়ি বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। আবার কেউ ৩০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় তিন হাজারের বেশি এলাকা জুড়ে ধান চাষ হয়েছে। ফসলও এবার ভালো হয়েছিল। কিন্তু সোমবার গভীর রাতে ঝড়-বৃষ্টির জেরে এখন ধানের জমিগুলি জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। কোমর জলে নেমে ডুবে যাওয়া ধান গাছগুলি কাটতে হচ্ছে। এই অবস্থায় প্রচুর আর্থিক লোকসানের মধ্যে আমাদের পড়তে হলো। ভেজা ধানগুলিকে কোনো রকমে শুকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু যে ভাবে বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে, তাতে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের কাছে ধানের ক্ষতিপূরণের আবেদন জানাবো। যদিও সংশ্লিষ্ট ব্লকের কৃষিদপ্তর এখনো কালবৈশাখীর ঝড়ে ও বৃষ্টিতে ধানের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জানাতে পারে নি। যাত্রাডাঙ্গা অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান নুর হক জানান, আমি নিজে গত মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর এলাকায় গিয়েছিলাম এবং সরজমিনে ধানের জমি পরিদর্শন করেছি, সম্পূর্ণ ধান এখন জলের তলায় তবুও চাষিরা চেষ্টা করছে যদি কিছু ধান তোলা যায়। তবে আমি পুরো রিপোর্ট বানিয়ে এডিও সাহেবকে দেবো যাতে করে চাষিরা কিছু সরকারি সহযোগিতা পায়।