উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৬ শে মে ২০২২ : বৃহস্পতিবার : ডুয়ার্সের চা-বাগানের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পড়ুয়াদের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করলো টাটা টি। চা-শ্রমিকের ছেলে মেয়েরাও শ্রমিকই হবে, আইপিএস, ডাক্তার ইন্জিনিয়ারও হবে, এমনই লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে টাটা গোষ্ঠীর অন্তর্গত অ্যামালগেমেটেড প্ল্যান্টেশন প্রাইভেট লিমিটেড ভূক্ত ডামডিম ও নেওড়া চা-বাগানের চতুর্থ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য নিঃখরচায় ই-লার্নিং শিক্ষা ব্যবস্থা করা হলো। মালবাজার মহকুমার ডামডিম চা-বাগানে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পাইলট প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন টাটা টি গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর তথা চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বিক্রম সিং গুলিয়া।
অনুষ্ঠানে অ্যামালগেমেটেড প্ল্যান্টেশন প্রাইভেট লিমিটেডের ট্রাস্টি অমিতাভ সেন বলেন, ডুয়ার্স ও আসাম মিলিয়ে গোষ্ঠীর মোট ৩৮ টি চা-বাগান রয়েছে। যার মধ্যে ডামডিম ও নেওড়া চা-বাগানে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই ই-লার্নিং ব্যবস্থা চালু করা হলো। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো, চা বলয়ের শিশু-কিশোরদের সামনেও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার দুয়ার খুলে দেওয়া। যার সুবিধা নিয়ে চা-বাগানের আগামী প্রজন্মের পড়ুয়ারাও জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। টাটা টি গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বিক্রম সিং গুলিয়া বলেন, ই-লার্নিং চালু হওয়ার পর বিভিন্ন সূচকের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে দেখা হবে আগামী এক বছরের মধ্যে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষায় ঠিক কি ধরনের পরিবর্তন আসছে। কোথাও খামতি আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে তাও। ফলাফল ইতিবাচক হলে আগামীদিনে টাটা গোষ্ঠীর সমস্ত চা-বাগানেই ১০০ শতাংশ স্বাক্ষরতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই প্রকল্প চালু করা হবে।
জানা গিয়েছে যে প্রাথমিক ভাবে ডামডিম চা-বাগানের ৮৩৪ জন এবং নেওড়া চা বাগানের ৩৪৩ জন পড়ুয়া এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছে। বহুল বিজ্ঞাপিত একটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার ভীত মজবুত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে সপ্তাহে একটি করে ক্লাস করতে হবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চা শিল্পে কোনও শিল্প গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দেশের ভবিষ্যতের কারিগরদের স্বার্থে এই ধরনের প্রশংসনীয় উদ্যোগ এই প্রথম। যে উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত চা মালিকদের সংগঠন ডি.বি.আই.টি.এ. থেকে শুরু করে একাধিক সংগঠন।