উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৩০ শে মে ২০২২ : সোমবার : শ্মশানের বেহাল অবস্থায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ, নেই আলো এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। সরকারি উদ্যোগে দ্রুততার সাথে সংস্কারক শ্মশান দাবিতে সরব হয়েছেন মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর এলাকার বাসিন্দারা।
মথুরাপুরের গা ঘেঁষে বয়ে গেছে ফুলাহার নদী। সে নদীর পাশেই রয়েছে বহু প্রাচীন মথুরাপুর শ্মশান। প্রতিদিনই প্রায় দেহ সৎকার করতে এই শ্মশানে আসে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় প্রতিদিনই দেহ আসে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য। কিন্তু এই শ্মশানে কোন রকমে উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। সরকারি ভাবে কোন ব্যবস্থাই দেখা যায়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বর্তমানে শ্মশানের চারপাশে জমে আছে পার্থেনিয়াম এর মতো বিষাক্ত জঙ্গল। আশেপাশে পড়ে রয়েছে নোংরা আবর্জনা। নেই পানীয় জল ও আলোর ব্যবস্থা। একটি ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও সেটিও ঠিকঠাক জ্বলে না। নেই কোন শৌচালয়ের ব্যবস্থা ফলে দূর দূরান্ত থেকে আসা শ্মশান যাত্রীদের খানিকটা বিপদের মুখে পড়তে হয় এখানে। সঠিক সুযোগ সুবিধার না পেলেও মৃতদেহ নিয়ে অন্তিমসৎকারে যেতে বাধ্য হচ্ছেন পরিজনেরা। দেহ নিয়ে যেতে হয় মানিকচক ঘাটে নতুবা প্রায় 40 কিলোমিটার দূরে সদুল্লাপুর মহাশ্মশানে। স্থানীয়দের দাবি শীঘ্রই সরকারিভাবে সংস্কার করা হোক মথুরাপুর শ্মশান। স্থানীয়রা জানান দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই শ্মশান চত্বরটি। আমরা বারবার প্রশাসনের কাছে দরবার করলেও মেলেনি কোন সুরাহা। জন প্রতিনিধিদের জানানো হলেও হয়নি কাজ। আমাদের দাবি শ্মশান চত্বর শীঘ্রই জঞ্জাল মুক্ত করা হোক। প্রতিদিনই শ্মশানে দেহ সৎকারের জন্য আসে তার মধ্যে কোনটি বৈধ বা অবৈধ তা নথিভূক্ত করার জন্য এবং দেখাশোনার কোনো ব্যবস্থাই নেই। এপ্রসঙ্গে মথুরাপুর পঞ্চায়েত প্রধান সাধনা মন্ডল জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে, বর্তমান অবস্থা সত্যিই খারাপ রয়েছে মথুরাপুর শ্মশানের। আমরা চেষ্টা করছি এর দ্রুত সমাধান করার।