উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৯ ই জুন ২০২২ : বৃহস্পতিবার : বুধবার মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি চেল নদী এলাকায় বালি পাথর রাখা নিয়ে দুই গোষ্টির মধ্যে গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন আহত হয়। গতকাল থেকেই এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। এলাকার যুবক সুরেশ কেরকাট্টার লোকজনের সাথে স্থানিয় যুবক মহম্মদ সিরাজুল হকের লোকজনের গন্ডগোল বাধে আর এতেই বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার চেল নদী এলাকা এবং সুরেশ কেরকাট্টা বাড়ি ঘুরে দেখেন অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা কর্মিরা। বিকাশ পরিষদের মাল ব্লকের প্রেসিডেন্ট অমরদান বাক্লা বলেন, বুধবার ক্ষদিরাম পল্লী এলাকার কিছু যুবক চেল নদী এলাকার সাইলি চা-বাগানের খালি জমি দখল করছিলো। ওই খালি জমিতে ডাম্পার করে বালি পাথর ফেলে জমি দখল করছিলো। সেই সময় আমাদের ভাই সুরেশ কেরকাট্টা যখন ওই যুবকদের বাধা দেয়, তখন ক্ষুদিরাম পল্লীর ছেলেরা সুরেশ কেরকাট্টার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িঘর ভেঙ্গে দেয়। বাড়িতে রাখা ট্রাক্টর থেকে তেল এবং লোহার জিনিস পত্র চুরি করে নেয়। এব্যাপারে রাতেই আমরা মালবাজার থানায় এই যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাই। তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাছে আমাদের অনুরোধ দুই পক্ষের অভিযোগ সমান ভাবে যেন কারবাই করা হয়। সুরেশের সাথে কয়েকজন সঙ্গী-সাথীরাও আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা চলছে বলে অমরদন বাক্লা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে বিকাশ পরিষদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বুধবারের গন্ডগোলের আহত যুবক আশিক আলি। তিনি বলেন সুরেশের লোকজন আমাদের মেরেছে। আমরা সুরেশের বাড়ি ভাংচুর করি নি। ওখানে সিসি টিভি লাগানো আছে, সেগুলো যাচাই করলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে। আশিক আলি বলেন, সুরেশ কেরকাট্টা চেল নদী এলাকায় চা-বাগানের জমি এই ভাবেই দখল করে রেখেছে। আমাদের দাবি পুলিশ যাতে সঠিক তদন্ত করে। দুই পক্ষের গন্ডগোলে এখনো উত্তেজনা রয়েছে চেল নদী এলাকা। সব সময় এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।