উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৮ ই জুন ২০২২ : বুধবার : অভিযোগ বালি পাথর রাখাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্টির মধ্যে গন্ডগোল। আর তাতেই গুরুতর আহত ৫ জন বলে অভিযোগ। মালবাজার মহকুমার চেল নদী সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহতদের মধ্যে চার জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছে। চেল নদী এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
 জানা গেছে, বুধবার মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি চেল নদীর পাশে স্থানিয় কিছু যুবক বালি-পাথর মজুত করে রাখছিলো বলে অভিযোগ। সেই সময় এলাকারই যুবক সুরেশ কেরকাট্টা বলেন, এটা আমার জমি, তাই আমার জমির ওপর বালি পাথর রাখতে দেওয়া হবে না। এরপর দুই পক্ষের মধ্য প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে মারপিট হয়, তাতে ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। আহত যুবক মহম্মদ সিরাজুল হক বলেন, আমরা চেল নদীর পাশে ক্ষুদিরাম পল্লীর বাসিন্দা। আমরা কিছু যুবক বর্ষার আগে চেলনদীর বালি পাথর এক জায়গায় মজুত করে রাখছিলাম। কিন্তু এলাকার বাসিন্দা সুরেশ কেরকাট্টা দাবি করেন, যে জায়গায় বালি পাথর রাখা হচ্ছে, সেই জায়গা তার। তাই আমাদের বালি-পাথর রাখতে বাধা দেয় এবং আমাকে সুরেশ কেরকাট্টা এবং তার সঙ্গী-সাথীরা প্রচন্ড মারধোর করে। এই খবর জানাজানি হতে আমার প্রতিবেশীরা সুরেশ কেরকাট্টা বাড়িতে গিয়ে জানতে চায় কেন মারধোর করা হয়েছে। তখন, সুরেশ কেরকাট্টা এবং তার সঙ্গী-সাথীরা লোহার রড দিয়ে আমাদের প্রচন্ড মারধোর করে। আমাদের সকলের আঘাত গুরুতর হওয়ায়, প্রথমে ওদলাবাড়ি হাসপাতালে এবং পারে ৪ জনকে শিলিগুড়ি রেফার করা হয়। আহত যুবক মহম্মদ সিরাজুল বলেন, আমরা চাই সুরেশ কেরকাট্টা চেল নদী থেকে অন্য কোথাও চলে যাক। তা না হলে আমরা তার বাড়ি ভেঙ্গে দেব। ঘটনা স্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী, রয়েছে উত্তেজনা।
এব্যাপারে সুরেশ কেরকাট্টা বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। নিজেদের মধ্যে কোন গন্ডগোল হয়েছে, তার দায় আমার ওপর লাগাছে এরা। এই যুবকেরা, চেল নদী এলাকায় আমার বাড়িতে হামলা চালায়। সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা আমার বাড়ি গিয়ে দেখতে পাবেন, আমার বাড়ির বহু জিনিস ভেঙ্গে দিয়েছে তারা। জোর করে আমার বাড়ির কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে তারা। আমি কাউকে মারিনি বলে সুরেশ কেরকাট্টা জানায়। এব্যাপারে মালবাজার থানার আই সি সুজিত লামা বলেন, এই গন্ডগোলে ৫ জন আহত হয়েছে। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
