উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১১ ই জুন ২০২২ : শনিবার : মাল ব্লকের বাগ্রাকোট এলাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের থামার লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। এক দুজন করে বেড়েই চলেছে। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বাগ্রাকোট এলাকার টপ লাইন, বিডি আর বস্তি, ধোবি লাইন, চার্চ লাইন সহ বেশ কিছু এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে দু’বার কোলকাতা থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ টিম বাগ্রাকোট এলাকায় পরিদর্শন করে গেছেন। পাশাপাশি প্রতিদিন এলাকায় চলছে মেডিকেল ক্যাম্প। প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে ফগিং এবং কীটনাশক স্প্রে, পাশাপাশি চলছে সচেতনতা শিবির। কিন্ত এত কিছুর পরেও ডেঙ্গুকে পুরোপুরি ভাবে আটকানো যায় নি। বর্তমানে কীটনাশক স্প্রে করার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বাগ্রাকোট এলাকায়। বাড়ি বাড়ি খোজ খবর নিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মিরা। প্রদান করা হচ্ছে মশারী। দুদিন আগে বাগ্রাকোটের ডেঙ্গু প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেন মাল মহকুমা শাসক পীষুষ ভগবান রাও সালুংকে।
বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সরন ঘীমিরে বলেন, সরকারি ভাবে বাড়ি বাড়ি মশারী দেওয়া হচ্ছে। এবার মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছে গান্ধী ক্লাবে। এর আগে টপ লাইনে মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছিল। এত কিছুর পরেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না। বাচ্চা থেকে বড় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। পি.এইচ.ই. এর উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে। যাতে কেউ বাড়িতে জল জমা করে না রাখে। চলছে ফগিং, স্প্রে এবং মশারী বিতরণ। মালবাজার ব্লকের বি.এম.ও.এইচ. দীপঙ্কর কর বলেন, স্বাস্থ্য কর্মি এবং আধিকারিকেরা রাত-দিন কাজ করে চলেছে বাগ্রাকোট এলাকায়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবন থেকে প্রতিদিন খোজ রাখছে বাগ্রাকোটের দিকে। বাগ্রাকোট এলাকায় ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারন হল জলের। নিয়মিত পানীয় জল না পাওয়ার জন্য এলাকার মানুষ জল আবদ্ধ করে রাখে। আর সেই জলের ডেঙ্গুর উপদ্রব বাড়ছে। বর্তমানে পি.এইচ.ই.-র ট্র্যাঙ্কের মাধ্যমে জল সরবরাহ করে যাচ্ছে বাগ্রাকোট এলাকায়। তাই বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমানো গেছে পাশাপাশি সুস্থ্যতার হারও ভালো। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বাগ্রাকোট এলাকায় ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৮০ এবং সুস্থতার সংখ্যা ২৪২ জন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে বাড়িতে এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।