উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১২ ই জুন ২০২২ : রবিবার : মালবাজার ব্লকের বাগ্রাকোট এলাকায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। সঙ্গে ছিলেন, তৃণমূল এর জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ, মালবাজারের মহকুমা শাসক পিজুস ভগনরাও সালুঙ্গে, বি.এম.ও.এইচ. দীপঙ্কর কর, জলপাইগুড়ির এ.ডি.এম. বিবেক ভাসমী, মালবাজারের বি.ডি.ও. সুভজিৎ দাসগুপ্ত, মালবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার প্রসাদ।
এদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলেন মন্ত্রী। কি কি সমস্যা রয়েছে, ঠিকঠাক চিকিৎসা পাচ্ছেন কিনা এলাকার মানুষ, তার খোঁজ খবর নেন। বুলুচিক বরাইক বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম ভাল কাজ করছে। তাই এখন কন্ট্রোলে রয়েছে ডেঙ্গু। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ চা শ্রমিক। তাই কাজে যাবার আগে শ্রমিকেরা বাড়িতে জল জমা করে কাজে যায়। কারন এখানে পানীয় জলের সমস্যা আছে। আর এই জমা জলেই ডেঙ্গু হচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগে কিছুদিনের মধ্যে বাড়ি বাড়ি পি.এইচ.ই. জল পৌছে যাবে। বর্তমানে ট্যাঙ্কের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পি.এইচ.ই. জল পৌছে দেওয়া হচ্ছে। তবে এলাকায় নিকাশির ব্যাবস্থা ঠিকঠাক না হওয়ায় জল দাড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। এব্যাপারে বি.ডি.ও. এবং এস.ডি.ও. কে বলেছি ব্যাপারটা দেখতে।
মন্ত্রী বুলুচিকের বাড়ি মাল ব্লকের রাঙ্গামাটি এলাকায়। রাঙ্গামাটি থেকে বাগ্রাকোটের দূরত্ব মেরে কেটে ২৪ কিলোমিটার। আর ২৪ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে অবশেষে ডেঙ্গু প্রবন এলাকায় পৌছালেন ২৬ দিন পর মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। আর এখানেই উঠছে নানা প্রশ্ন উঠেছে মানুষের মনে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ২০২০ সালে নিকাশি ব্যাবস্থা ঠিকঠাক করার জন্য মালবাজার বিডিও কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়ে ছিল, তারপরও সেই কাজ হয়নি। এব্যাপারে মন্ত্রী বলেন খোঁজ নিয়ে দেখছি। জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল এর সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, যে ভাবে স্বাস্থ্য দপ্তর, প্রশাসন এবং আমাদের মত তৃণমূল এর সৈনিকেরা ফিল্ডে নেমে পড়েছে। রাত দিন এলাকায় কাজ করে বাগ্রাকোট থেকে ডেঙ্গু নির্মুল করবো আমরা। সেই জন্য একটা সচেতনতার র্যালীও করা হয় বাগ্রাকোট এলাকায়। ওদলাবাড়ি হাসপাতালে ৬ জন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ৩ জন ভর্তি রয়েছে। বাকিদের বাড়িতে চিকিৎসা চলছে। আশা করছি সবাই দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবে।
জলপাইগুড়ির এ.ডি.এম. ডক্টর বিবেক ভাসমী বলেন, বাগ্রাকোটে সবাই এসেছি। এখানে পানীয় জলের সমস্যা ছিলো। সেই জন্য বাড়ি বাড়ি জল পৌছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন মেডিকেল ক্যাম্প হচ্ছে। এখানে প্রতিনিয়ত স্প্রে হচ্ছে, ফগিং এর কাজ চলছে। বাড়ি বাড়ি দুটো করে মশারী দেওয়া হয়েছে। বাড়ির জল ঢেকে রাখার জন্য মাইক্রো নেট দেওয়া হয়েছে। সেটা গ্রামের মানুষেরা ব্যাবহার করছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলা শাসকের উদ্যোগে একটা টিম হিসেবে আমরা বাগ্রাকোটে কাজ করছি। আশা করছি দ্রুত ডেঙ্গু মুক্ত করতে পারবো এই এলাকা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বাগ্রাকোট এলাকায় ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩১১ এবং সুস্থতার সংখ্যা ২৬০ জন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে বাড়িতে এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।