উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৩ শে জুন ২০২২ : বৃহস্পতিবার : কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কোথাও পাড় ভেঙে, আবার কোথাও চা-বাগানের জমি গিলে ক্রমশঃ জনবসতির দিকে এগিয়ে চলেছে চেল নদী। মাল ব্লকের চেল সড়ক সেতু পেরিয়ে সেচ দপ্তরের অসংরক্ষিত এলাকায় ক্ষুদীরামপল্লীর খুব কাছে চলে এসেছে চেল নদীর তীব্র জলস্রোত। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে ওঠা নদীর গতিপ্রকৃতি দেখে আতঙ্কে ভুগছেন ক্ষুদীরামপল্লীর বাসিন্দারা। এখানকার বাসিন্দা আশিক আলী, মনু রায়দের বক্তব্য গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে চেল নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যত সময় যাচ্ছে নদী তত জনবসতির দিকে এগিয়ে আসছে। অবিলম্বে প্রশাসনের দেখা উচিত।
অন্যদিকে মাল ব্লকের রানিচেরা চা বাগানের একাংশও ক্ষতির মুখে। গত কয়েকদিনে চা বাগানের ১০ নম্বর সেকশনের প্রচুর চা গাছ ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি রানিচেরা চা-বাগান কতৃপক্ষের। চা-বাগান কতৃপক্ষ জানিয়েছে, পাহাড়ি এই নদী কখন যে গতিপথ পাল্টে দেবে তা আগে থেকে আন্দাজ করা কঠিন। তাই আগাম ব্যবস্থা গ্রহন জরুরি, না হলে প্ল্যান্টেশন এরিয়ার পাশাপাশি নদী তীরবর্তী ঐতিহ্যবাহী গলফ্ কোর্ট ও চেল ক্লাবও যে কোনোদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। চেল নদী থেকে কিছুটা দূরে ক্যাসার মালিক (পাথর ভাঙ্গার ফ্যাক্টরি) রতন গর্গ বলেন, যে ভাবে নদী পাড় ভেঙে চলেছে তাতে মাত্র কয়েক মিটারের ব্যবধান রয়ে গিয়েছে নদী ও ঘরবাড়ির মধ্যে দূরত্ব। অবিলম্বে ভাঙন রোধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলে গত বর্ষায় এই এলাকায় ভাঙ্গন হয়েছিলো। সেই সময় নদীর বুকে একাধিক আর্থ মুভার নামিয়ে নদীর মাঝ বরাবর ড্রেজিং করে ও চ্যানেল কেটে নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়েছিলাম। এবছর যদি নদীর মাঝখান কেটে না দেওয়া যায় তা হলে আবার বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। মালবাজারের প্রশাসন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার আশ্বাস দিয়েছে।