উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৮ ই জুলাই ২০২২ : সোমবার : এক গৃহবধুর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ময়নাগুড়ি এলাকায়। এই বিষয়ে গৃহবধূ তার শ্বশুরবাড়ির নামে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, বছর কুড়ির গৃহবধূ পম্পা রায়, বাড়ি ময়নাগুড়ির উত্তর খাগড়াবাড়ি এলাকায়। দু’বছর আগে ময়নাগুড়ি শহীদগড় স্কুলপাড়া এলাকার আশিষ রায়ের সাথে বিয়ে হয় পম্পার। এরপর থেকেই আশিষ ও তার পরিবার সেই গৃহবধুর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। এমন কি বাপের বাড়ি যেতে চাইলেও মারধর করতো স্বামী, বলে অভিযোগ করেন সেই গৃহবধূ। গৃহবধূ জানায়, তার শ্বশুরবাড়ির লোক তার উপর নানা ভাবে অত্যাচার চালায়। গৃহবধূ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর ওই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার ওপর অত্যাচার করে সেই সন্তানকে নষ্ট করে বলে অভিযোগ। পুনরায় সেই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হলে ফের একই ভাবে তার ওপর নির্যাতন চালায়। কোনক্রমে সেই বাড়ি থেকে পালিয়ে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন সেই গৃহবধূ। গত ১৬ই জুলাই তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরপর রবিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে সোমবার ময়নাগুড়ি থানার দ্বারস্থ হন সেই গৃহবধূ। স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত আশিষ রায়কে গ্রেফতার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
নির্যাতিতা গৃহবধূ বলেন, আমার উপর আমার শ্বশুরবাড়ির লোক শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালায়। অন্তঃসত্তা অবস্থায় মারধর চালায় ফলে সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। রবিবার জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার দ্বারস্থ হয়েছি। আমি অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। গৃহবধুর দাদা রতন রায় বলেন, দুই বছর আগে ময়নাগুড়ি শহীদগড় স্কুলপাড়া এলাকায় আশিস রায়ের সাথে বিয়ে হয় বোনের। এরপর তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় বাড়ির লোকজন। সেই কারণে ময়নাগুড়ি থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এসেছি। আমরা তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।