উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ২৬ শে জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার : এলাকায় বেড়েছিল রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। যার কারণে চলতি মাসের ১৯ তারিখ উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থেকে ডেকে নিয়ে আসা হয়েছিল মাহান। এরপর ২০ তারিখ এলাকার এক মহিলা রাধন হেমব্রম সহ ১৫ জন গ্রামবাসীকে ডাইনি অপবাদে হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যার প্রতিবাদ করেছিল রাধন হেমব্রম এর ছেলে সুবোধ হাঁসদা। সালিশি সভায় প্রতিবাদ করায় সুবোধ হাঁসদা কে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এলাকারই বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আক্রান্ত অবস্থায় গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর ২১ তারিখ গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে আসে সুবোধ হাঁসদা ও তার বাবা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল গাজোল থানার অন্তর্গত আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রসাইল গ্রামে।
আক্রান্ত সুবোধ হাঁসদার অভিযোগ তাদের ডাইনি হিসেবে চিহ্নিত করে মারধর করা হলেও সেই অভিযোগ নিয়ে থানায় দারস্ত হলেও গাজোল থানার আইসি এবং অভিযোগ পত্রের লেখক তার বাবাকে দিয়ে আইসির রুমে নিয়ে গিয়ে অভিযোগ পত্রের ডাইনি কথা উল্লেখ করতে দেয়নি। ডাইনি অপবাদ দিয়ে মারধর করা হলেও ডাইনি কথা বাদ দিয়ে মারধরের একটি সাধারণ অভিযোগপত্র লিখতে বলে। থানার আধিকারিক জানায় আলাল অঞ্চলের উপপ্রধান বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন। আর এতেই বেঁকে বসে আক্রান্ত যুবক। তার বয়ান এবং তার সত্য অভিযোগ কেন নেওয়া হলো না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বর্তমানে খুনের আশঙ্কা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগী হয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ডাইনি অপবাদ দিয়ে খুনের চেষ্টা অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত যুবকের মা রাধন হেমব্রম। মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি থানার আইসি কেন তার অভিযোগ পরিবর্তন করার নির্দেশ দিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।