উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ১৫ ই জুলাই ২০২২ : শুক্রবার : জমি বিবাদের জেরে নাবালিকাকে মারধর তৃণমূল নেতার, আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে নাবালিকা, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের, অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার, ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের।
জমি বিবাদের সালিশ করতে এসে এক নাবালিকাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা এবং তার সঙ্গী সাথীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেতাদের মারের মুখে পড়ে গুরুতর জখম ওই নাবালিকা। তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার মলিওর গ্রামে।ঘটনা জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার মালিওর গ্রামে সুকুমার মন্ডল এবং সুদাম মন্ডল দুই ভাইয়ের মধ্যে বাস্তু জমি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ। শুক্রবার সকালে এই দুই ভাই বাড়ির জমি মাপার জন্য প্রস্তুতি নেয়। আমিন ডাকা হয় বলেও খবর। জমি মাপা শুরু হলেই শুরু হয় দুই ভাইয়ের মধ্যে গন্ডগোল। ওই গন্ডগোলে হাজির হন এলাকারই বুথ স্তরের তৃণমূল নেতা নারায়ণ মন্ডল এবং তার সঙ্গী সাথীরা। এরপরই তারা সুদাম মন্ডলের হয়ে জমি মাপার কাজকে প্রভাবিত করেন বলে অভিযোগ। সুকুমার মন্ডল এবং তার পরিবার ওই তৃণমূল নেতা নারায়ণ মন্ডলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে তাদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল নেতা নারায়ণ মন্ডলের সঙ্গী সাথীরা। এমনকি ওই তৃণমূল নেতা সুকুমার মন্ডল ও তার পরিবারকে ব্যাপক মারধর করে। ছাড় পায়না সুকুমার মন্ডলের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়ে। ওই তৃণমূল নেতা এবং তার সঙ্গীরা সুকুমার মণ্ডলের ১৪ বছরের মেয়ে ছটি মণ্ডল কে ব্যাপক মারধর করে। মারের চোটে ওই নাবালিকার বুকে চরম আঘাত লাগে, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নাবালিকাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, সুকুমার মন্ডল এবং সুদাম মন্ডল এই দুই ভাই এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলেই পরিচিত। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নারায়ণ মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। যদিও সমস্ত ঘটনা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা যুব ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান জানান, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেই। গন্ডগোল হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ পারিবারিক। এই ঘটনায় দলের কোন নেতা মদত জুগিয়ে থাকলে আইন আইনের পথে চলবে। অন্যদিকে গোটা ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির মালদা জেলা সাধারণ সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া জানান, রাজ্য জুড়ে তৃণমূল নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে মেতে আছে। এটা নতুন কিছু নয়। হিংসা ছড়াচ্ছে তৃণমূল আর এর জেরে সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে। এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশ সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।